সোন্দাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত: ১:৩৫ অপরাহ্ণ, জুন ২৯, ২০২১

সোন্দাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগ

মাঈন উদ্দিন দুলাল- নাঙ্গলকোটের সোন্দাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগে অনিয়ম, দুর্ণীতি ও নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে মঙ্গলবার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে ওই স্কুলে নিরাপত্তা কর্মী পদে প্রার্থী সোন্দাইল গ্রামের অলি উল্লাহর ছেলে বাহার উদ্দিন।
অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের সোন্দাইল উচ্চ বিদ্যালয়ে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের জন্য গত ২০ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। গত ১৪ জুন নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষায় আবেদনকারী ৫ প্রার্থীর মধ্যে ৪ প্রার্থী অংশ গ্রহণ করেন। পরীক্ষার দিন ফলাফল প্রকাশ না করা হলেও স্কুলের অভিভাবক সদস্য আব্দুর রব চৌধুরী অশ্বদিয়া গ্রামের ই¯্রাফিল হোসেন উর্ত্তীণ হয়েছে বলে প্রচার করে। পরে মঙ্গলবার স্কুল পরিচালনা কমিটির বৈঠকে ই¯্রাফিল হোসেনকে উর্ত্তীণ বলে ঘোষণা করেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবিউল হোসেন ও নিয়োগ বোর্ড। প্রার্থী ইস্্রাফিল হোসেন সোন্দাইল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৭ সালে জেএসসি ও ২০২০ সালে এসএসসি পরীক্ষা পাস করে। সনদে তার জন্ম তারিখ ১৮ জানুয়ারী ২০০৪, সে অনুযায়ী তার বয়স ১৭ বছর ২ মাস। সরকারী বিধি মোতাবেক ১৮ বছরের কম বয়সী কোন প্রার্থী চাকুরীর জন্য আবেদন করতে পারে না। নিরাপত্তাকর্মী চাকুরী পেতে ই¯্রাফিল হোসেন অনৈতিক ভাবে জন্ম সনদে জন্ম তারিখ ও মাস ঠিক রেখে সালের স্থলে ২০০২ ও ই¯্রাফিল হোসেনের স্থলে মো: ই¯্রাফিল লিখে সংশোধন করে। পরে সংশোধিত জন্ম সনদ দিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্রের জন্য আবেদন করে। ওই এনআইডির অনলাইন কপি ও সার্টিফিকেটে জন্ম সাল জালিয়াতী করে স্কুলে চাকুরীর জন্য আবেদন করেন ই¯্রাফিল। তার এ অনৈতিক কাজের সাথে স্কুল প্রধান শিক্ষক ও অভিভাবক কমিটির সদস্য আব্দুর রব চৌধুরী জড়িত বলে স্থানীয়রা জানান। এ ব্যাপারে ভূক্তভোগী বাহার উদ্দিন নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক রবিউল হোসেন বলেন, মঙ্গলবার স্কুল কমিটির বৈঠক চলা কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ করেছে খবর পেয়ে আমরা ১০ দিনের জন্য নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করেছি। প্রার্থী আবেদনে যে সনদ দিয়েছে ওই সনদ গুলো জাল হলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিন বলেন, কোন শিক্ষক বা কর্মচারীর কাগজ পত্র সঠিক না থাকলে তার এমপিও হবে না। উপজেলা নির্বাহী অফিসার বিষয়টি তদন্ত করতে আমাকে দায়িত্ব প্রদান করেছেন। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

 

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ