তুচ্ছ ঘটনায় বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা, আহত-৯

প্রকাশিত: ৪:৩৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ২৩, ২০২৪

তুচ্ছ ঘটনায় বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা, আহত-৯

কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী :
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের ধানওড়া গ্রামের মাঠে খেলতে গিয়ে ওই গ্রামের দু’গ্রুপের বাকবিতন্ডার জেরে পাশ্ববর্তী নাঙ্গলকোট উপজেলার দাঁড়াচৌ গ্রামে ধানওড়া উত্তর পাড়ার যুবকরা খেলতে গেলে একই গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মোহাম্মদ মানিকের নেতৃত্বে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ধানওড়া উত্তর পাড়ার আব্দুল হালিমের ছেলে মোহাম্মদ রাসেল (২৩), নুর হোসেনের ছেলে শাহাদাত হোসেন (২৪), আব্দুস সাত্তারের ছেলে এয়াছিন (২০), মানিক মিয়ার ছেলে মোহাম্মদ মামুন (২২), মাহবুবুর রহমানের ছেলে ই¯্রাফিল (২৪), হায়াতুন নবীর ছেলে মোহাম্মদ হাছান (১৯), সবুজের ছেলে তানভির হোসেন গেদু (১৮), জসিমের ছেলে শাহাদাত (১৯), আবুল বাশারের ছেলে শাকিল (২১) ও কাউছারের ছেলে সৌরভ (২০) আহত হন। আহতদের মধ্যে মোহাম্মদ রাসেল, মামুন, শাহাদাত হোসেন, এয়াছিন, ই¯্রাফিলকে লাকসাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এদের মধ্যে মোহাম্মদ রাসেলের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। গত শুক্রবার নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের দাঁড়াচৌ খেলার মাঠে এ হামলার ঘটনা ঘটলেও আহতরা হাসপাতালে থাকায় বিষয়টি মঙ্গলবার সংবাদিকদের জানান আহতদের পরিবার। তবে এ ব্যাপারে ধানওড়া দক্ষিণ পাড়ার অভিযুক্ত মানিকের পিতা মাহবুবুল আলমের দাবি খেলার মাঠে মারামারির পর তাদের বাড়ি ঘরে হামলা ভাংচুর করেছে ধানওড়া উত্তর পাড়ার কিশোররা।
হামলায় গুরুতর আহত মোহাম্মদ রাসেল বলেন, আমাদের ধানওড়া গ্রামে শুক্রবার সকালে খেলা নিয়ে উত্তর ও দক্ষিণ পাড়ার ছেলেদের মাঝে বাকবিতন্ডা হয়। পরে আমরা বিকেলে নাঙ্গলকোট উপজেলার দাঁড়াচৌ গ্রামে খেলতে গেলে আমাদের গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার মানিক, নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা গ্রামের খোরশেদ আলম, মোখছেদ ও সৈকতের নেতৃত্বে ১৫/২০জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমাদের উপর খেলার মাঠে অর্তকিত হামলা করে। হামলায় আমি-সহ ৯জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে ৫জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারীদের ক্রিকেট স্টাম্পের আঘাতে আমার বাম চোখের লেন্স নষ্ট হয়ে গিয়েছে বলে জানান কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকৎসকরা। আমি এখনও চিকিৎসাধীন। আমি প্রশাসনের কাছে এ সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্ত মানিকের বাড়িতে গিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি, তবে এ ব্যাপারে মনিকের পিতা মাহবুবুল আলম বলেন, খেলার মাঠে মারামারি হয়েছে শুনেছি। মারামারিতে আমার ছেলে নাকি ছিলো। পরে উত্তর পাড়ার অনেক ছেলেরা একত্রিত হয়ে আমার বাড়িতে এসে হামলা ভাংচুর চালিয়েছে।
বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লেয়াকত হোসেন ভূঁইয়া গাজী বলেন, মারামারি ও বাড়িঘরে হামলার খবর শুনে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। আগামী শনিবার বিষয়টি নিয়ে শালিস বৈঠকের দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আশা করি শালিস বৈঠকের মাধ্যেমে একটি সুষ্ঠু সমাধান হবে।
লালমাই থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, বিষয়টি নিয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ