আমলাদের অতি উৎসাহে সর্বনাশ হয়

প্রকাশিত: ১:৩৯ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২৭, ২০২০

আমলাদের অতি উৎসাহে সর্বনাশ হয়

নঈম নিজাম– করোনাকাল মনে ভয় ধরিয়ে দিয়েছে। আমাদের প্রিয়জনরা চলে যাচ্ছেন। বিশ্ব এক কঠিনতম সময় পার করছে। ভ্যাকসিন পুরোপুরি কার্যকর হওয়ার আগেই বদলে যাবে অনেক কিছু। সভ্যতার নতুন ইতিহাস তৈরি হবে। লেবানিজ আমেরিকান লেখক কাহলিল জিবরানের উপন্যাসের নায়ক আল মুস্তফা অপেক্ষায় থাকেন। ১২ বছরের অপেক্ষা। একদিন জাহাজ আসবে। সে জাহাজে চড়ে যাবেন স্বদেশ। ৮০টির বেশি ভাষায় প্রকাশ হয়েছিল ‘দ্য প্রফেট’ বইটি। আল মুস্তফার মতো অন্যভাবে আমরাও অপেক্ষায় আছি একদিন ভ্যাকসিন আসবে। সে ভ্যাকসিন মানবদেহে সফলভাবে প্রয়োগ হবে। তার পরও আমরা আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাব। নতুন আলোয় উদ্ভাসিত হবে বিশ্ব। বিমানবন্দরগুলো আবার খুলবে। ইমিগ্রেশন কর্মকর্তা রাশভারী চেহারা নিয়ে প্রশ্ন করবেন, তুমি কেন এ দেশে এলে? থাকবে কত দিন? সব ঝামেলা শেষ করে হোটেলে প্রবেশের পরই সুন্দরী অভ্যর্থনাকারী বলবেন, সুস্বাগত আপনাকে এই হোটেলে। আশা করি, আপনি বা আপনাদের দিনগুলো ভালো কাটবে। ব্যস্ততা বাড়বে বিমানবন্দরগুলোর। মানুষ খুলতে পারবে মুখের মাস্ক। আহা কবে সেই সময় আসবে কেউ জানি না। বিশ্ব এখনো থমকে দাঁড়িয়ে। তবু অপেক্ষায় আছি। সে অপেক্ষা একটি সোনালি আগামীর। তার পরও গভীর এক অনিশ্চয়তায় মাঝরাতে প্রায়ই ঘুম ভেঙে যায়। স্বপ্ন দেখি আমার মরহুম বাবাকে। তিনি আমার সামনে এসে দাঁড়ান। সাদামাটা মানুষ ছিলেন। চলে গেছেন অকালে। স্বপ্নে তিনি আসেন আজকাল। গল্প করেন। ঘুম ভেঙে যায় আমার। তারপর জেগে থাকি। পায়চারি করি। সকালে ফজরের নামাজ পড়ি। আবার ঘুমানোর চেষ্টা করি। কিন্তু না, ঘুম আসে না। করোনায় আক্রান্তের পর থেকে এমন হয়। কেন হয় জানি না। চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বললাম। বললেন, দুশ্চিন্তা কমান।

জানি না চিন্তা নিয়ে থাকি কিনা। তবে ভেবেছিলাম করোনাকাল নিষ্ঠুরতা, হিংসা, বিদ্বেষ দূর করবে। মানুষের মাঝে সুস্থতা ফিরে আসবে। সবকিছু স্বাভাবিক হবে। আমার সে আশা পূর্ণ হয়নি। না কোনো কিছু স্বাভাবিক হয়নি। অহংকারী মানুষের ভিড় আরও বেড়েছে। অনেকে দেমাগের কারণে হাঁটতে পারেন না। চলতে পারেন না। অর্থবিত্ত আর ক্ষমতা নাকি লুকানো যায় না। একটা সময় বেরিয়ে আসে মানুষের অজান্তে। সেদিন তথ্য মন্ত্রণালয়ে যাই একটি বৈঠকে যোগ দিতে। সংবাদপত্রের চলমান সংকট নিয়ে মন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের বৈঠক। ট্রাফিক জ্যামের কারণে পথে আমার দেরি হয়ে যায়। সমকালের মালিক এ কে আজাদ ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামের সঙ্গে কথা হয়। তাঁরা জানালেন, দ্রুত আস। মিটিং এখনো শুরু হয়নি। সচিবালয়ে গাড়ি নিয়ে প্রবেশে ঝামেলা। তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের বারবার বলেছি গেটে বলে রাখতে। না হলে গাড়ি ঢুকতে দেয় না। যাই হোক, ঝামেলা শেষ করেই দুপুর ১টা ৩০-এর আগে প্রবেশ করলাম। লিফটে চড়লাম। লিফটম্যানকে দেখলাম না। নিজেই বোতাম টিপলাম নবম তলার। চতুর্থ তলায় কয়েকজন নামলেন। একজন ছয় তলায়। লিফট খালি হলো। অষ্টম তলায় আসতেই একজন মাননীয় সচিব লিফটে চড়লেন। সঙ্গে দলবল। তিনি নিচে নামবেন। বুঝলাম অষ্টম তলায় কোনো একটা বৈঠক করে ফিরছেন। সচিব সাহেবের সহযোদ্ধারা গ্রাউন্ড ফ্লোরের জন্য বোতাম চাপলেন। কিন্তু কাজ হলো না। লিফটম্যান না থাকায় অষ্টম তলা কেউ ক্যানসেল করতে পারল না। যন্ত্র আপন নির্দেশে নবম তলায় চলে এলো। এতে বিরক্তি প্রকাশ করলেন সচিব সাহেব ও সহযোদ্ধারা। আমি এক্সকিউজ মি বলে বের হওয়ার চেষ্টা করছি। কেউ জায়গা ছাড়ছিলেন না। তারা ক্ষুব্ধ, ব্যথিত। একজন নিজেকে গোপন না করেই লিফট অষ্টমে দেখে বিরক্তি প্রকাশ করলেন। আরেকজন টিপ্পনী কেটে বললেন, কি সৌভাগ্যবান! নিজেকে অসহায় লাগছিল। মনে হলো স্বর্গের দেবতাদের সামনে জনগণ বেমানান। সচিব সাহেবের নিরাপত্তায় থাকা পুলিশ সদস্যটি ভালো ছিলেন বলে কিছুটা নিস্তার পেলাম। তিনি সরে নামলেন। আমি কোনোভাবে ফাঁক গলিয়ে বেরিয়ে হাঁফ ছাড়লাম। দ্রুত প্রবেশ করলাম তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে। কিছুক্ষণের মধ্যেই মন্ত্রী এলেন। শুরু হলো আমাদের সভার কাজ।

একটা সময় সচিবালয় বিটের রিপোর্টার ছিলাম। নিয়মিত সচিবালয়ে যেতাম। আজকাল তথ্য মন্ত্রণালয়ে জরুরি অফিশিয়াল বৈঠক ছাড়া যাওয়া হয় না। রিপোর্টার থাকাকালে অনেক ডাকসাইটে সিএসপিকে কাছ থেকে দেখেছি। তাদের থেকে সংবাদবিষয়ক সহায়তাও পেয়েছি। এখন নিজের অনেক বন্ধুবান্ধব আছেন প্রশাসনযন্ত্রের বড় দায়িত্বে। তাদের সঙ্গে কখনো কখনো কথা হয়। তবে অনেক বন্ধুর কাছে শুনি অনেক আমলার নানামুখী কাহিনি। অনেকের ভাবসাব, চালচলন স্বাভাবিক নয়। অনেকে মন্ত্রীর চেয়ে বড় আওয়ামী লীগার। বিগত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এমন হয়েছে। একটা অহংকার তৈরি হয়েছে সিভিল প্রশাসনে। ভাবখানা এমন, তারাই দয়া করে সরকারকে ক্ষমতায় এনেছেন এবং টিকিয়ে রাখছেন। আমলাদের দাপট প্রশাসনে সব কালেই ছিল। কিন্তু লাইম লাইটে মন্ত্রীরা থাকতেন। জনপ্রতিনিধিদের সম্মানটা ছিল আলাদা। অনেক গুরুত্বপূর্ণ এমপিও একটা মর্যাদা নিয়ে চলতেন। সংসদ দুর্বল হলে মন্ত্রিসভা ভালো হয় না। আর দুর্বল মন্ত্রিসভার কারণে আমলাদের ভাব বেড়ে যায়। অনেকের কথাবার্তায় মনে হয় রাষ্ট্রের মালিক বনে গেছেন।

রাষ্ট্রের মালিক দেশের জনগণ। অন্য কেউ নয়। তার পরও কারও পরিমিতিবোধ না থাকলে সমস্যা। অনেক প্রভাবশালীর বক্তব্য-বিবৃতিতে মনে হয় তারা নেতাদের চেয়েও বড় নেতা। শুরু করে আওয়ামী লীগের গুণকীর্তন দিয়ে। ভাব জন্মের পর থেকে আওয়ামী লীগের কর্মী। খারাপ লাগে। হতাশ হই। এমন অবস্থা রাজনৈতিক সরকার ক্ষমতায় থাকাকালে শোভন নয়। প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সংগঠন ট্রেড ইউনিয়ন নয়। মন চাইলেই ট্রেড ইউনিয়নের মতো বক্তৃতা-বিবৃতি প্রদান শালীন নয়। মাঠে নেমে মিছিল-সমাবেশ আরও অশালীন। বক্তব্য-বিবৃতি রাজনীতিবিদদের কাজ। আপনারা কেন মিছিল-সমাবেশ করবেন? নিজের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করুন। আইনের শাসনের স্বাভাবিকতা রক্ষা করুন। কেউ আইনের শাসন লঙ্ঘন করলে, জাতির জনকের অবমাননা কিংবা সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটালে কঠোর ব্যবস্থা নিন। হইচই করবেন না। বক্তৃতা দেবেন না। জাতীয় সংগীত অবমাননা করে বক্তব্য প্রদানকারীদের আইনের আওতায় আনুন। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জাতীয় সংগীত বাধ্যতামূলক করুন। জাতির জনককে কেউ কটূক্তি করলে, জাতীয় পতাকার অবমাননা ঘটালে ব্যবস্থা নিন। ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা আর পবিত্র সংবিধানকে রক্ষা করুন। সংবিধানে অর্পিত দায়িত্ব পালন করলেই সরকারকে সত্যিকারের সহায়তাদান হবে। দেশ স্থিতিশীল থাকবে। সাধারণ মানুষ স্বস্তিতে থাকবে।

সেদিন একজন দুঃখ করে বললেন, ‘অমুক সচিব নিজেকে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা পরিচয় দেন। সে সময় বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে ছিলাম আমি। তাকে কোনো দিন দেখিনি মিছিলে, সভায়। এমনকি তিনি দুই টাকার সদস্যও ছিলেন না। এখন পরিচয় দেন বিশাল ছাত্রলীগ নেতা ছিলেন।’ কথা বাড়ালাম না। এভাবেই তো চলছে। তারা চালাচ্ছেন। মন্ত্রী সাহেবরা অসহায়ের মতো দেখছেন। নিজের ব্যক্তিত্ব দিয়ে কোনো কিছু মোকাবিলা করতে পারেন না। দুঃখ হয়। গাছের পাতা, আকাশ-বাতাস সবাই আওয়ামী লীগ! অন্য দল ও মত পাওয়া কঠিন। তার পরও চারদিকে অশান্তির অনল কেন? কারণ একটাই- ঘাটে ঘাটে শুধুই মোশতাক। সরকারকে পোহাতে হয় ভোগান্তি আর ঝামেলা। এ ঝামেলা আকাশে বাতাসে থাকা আওয়ামী লীগাররাই করছে। অন্য কেউ নয়। দায়িত্ব নিয়ে কাজ করা মানুষের সংখ্যা কমে গেছে। নিজের মন ও দরদ আর আবেগ কোথাও নেই। সরকারি দলে থাকলে এমন বেশি হয়। কিন্তু খারাপ লাগে যখন দেখি সরকারের সুবিধাভোগীরাই তরী ডোবাচ্ছে। ওপরে মুজিবকোটে ফিটফাট, ভিতরে পুরোটাই সদরঘাট। এ সদরঘাটের সওয়ারির সংখ্যাই বেশি। সরকার, দলের সবখানে তাদের নানামুখী তৎপরতায় সর্বনাশ হয়ে যায় নীরবে।

বিএনপির ১৯৯১-৯৬ মেয়াদের ঘটনা। সিটি ভোট নিয়ে ইসির বৈঠকে যোগ দেন আওয়ামী লীগ নেতা তোফায়েল আহমেদ। তখনকার একজন সচিব জাকারিয়ার আচরণে ক্ষুব্ধ তোফায়েল সাংবাদিকের সামনে তীব্র প্রতিবাদ করেন। একপর্যায়ে বলেন, ‘লুক মি. জাকারিয়া! দেশটা আমরা স্বাধীন করেছি বলেই আপনারা সচিব হয়েছেন। আজ আমাদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ এমন আচরণ দেখানোর সাহস করছেন।’ জাকারিয়া সাহেব চুপসে যান। তোফায়েল আহমেদ বলেই পেরেছেন। সবাই পারেন না। শুধু এই মাপের নেতারা মন্ত্রী হলে আমলাকুল তটস্থ থাকে। ভয়ে থাকে। ফাইল সবাই বোঝেন না। আর আমাদের আমলারা গ্রামগঞ্জের সহজ-সরল রাজনীতিবিদদের কাছে পেলে তো কথাই নেই। পদে পদে ভোগান্তি আর সাপের পাঁচ পা দেখিয়ে দেন। কোনো মন্ত্রী সাহেবকে নিয়ে কথা বলতে চাই না। তবে সামাজিক অনুষ্ঠানে দেখি ক্যাবিনেটে অনেকে আছেন যারা সচিবদের তোষামোদ করতে পারলে গর্বিত হন।

আসলে অনেক কিছু নির্ভর করে ব্যক্তিত্বের ওপর। এরশাদ আমলে কর্নেল (অব.) জাফর ইমাম মন্ত্রী ছিলেন। এক সচিবের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেন এই বীর মুক্তিযোদ্ধা। শাহ ফরিদের মতো সচিবকে বলেন, ‘মন্ত্রী হয়েছি দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য। দেশটা স্বাধীন করেছি যুদ্ধ করে। আমলাতন্ত্রের নামে যা খুশি তা করা যাবে না।’ এহছানুল হক মিলনের মতো দক্ষ মন্ত্রীকে দেখেছি শহীদুল আলমের মতো সচিবের সঙ্গে লড়তে। এ লড়াইটা সবাই পারেন না। অনেকে বাস্তবতা বোঝেন না। আবার কেউ কেউ ভদ্রতার কারণে চুপ থাকেন। ঝামেলায় জড়ান না। কিছু দিন আগে সাংবাদিক সাঈদ তারেকের একটি বই পড়ছিলাম। তাঁর আত্মজীবনী। এরশাদ সামরিক শাসন জারির সময়ের অনেক ঘটনা এতে উঠে এসেছে। সাঈদ তারেক প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের কার্যালয়ের মিডিয়া উইংয়ের সঙ্গে জড়িয়েছিলেন। এম আর আখতার মুকুলও কাজ করেন সে উইংয়ে। সাঈদ তারেকের বইতে লে. কর্নেল মনিরুল ইসলাম চৌধুরীর কথা আছে। মেজর মুন্না নামে খ্যাত এ কর্মকর্তা ভীষণ দাপুটে ছিলেন সিএমএলএ সচিবালয়ে। জেনারেল চিশতির ছিলেন ডান হাত। এরশাদও ¯ন্ডেœহ করতেন। সেই মুন্না নিয়মিত সচিবদের ডাকতেন প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের অফিসে। তারপর ব্রিফ দিতেন দেশ কীভাবে চলবে। মুন্নার নাম শুনেই সচিবরা দ্রুত কাজ করতেন। এরশাদ বা জেনারেল চিশতির প্রয়োজন পড়ত না। আসলে সব সামরিক শাসনের আমলে সচিবরা সবার আগে ছুটে যান হাত তুলে। মোশতাক, জিয়া, এরশাদ সব আমলেই তারা কাজ করেন নিষ্ঠাবান হিসেবে। এমনকি ওয়ান-ইলেভেনের সময় সিভিল ব্যুরোক্র্যাসি ছিল সেনাশাসকদের তলপিবাহক। অনেক সময় তারা রাজনীতিবিদদের দুই হাত দেখানোয় সেনাশাসনে সিভিল ব্যুরোক্র্যাসির তৎপরতা বেড়ে যায়। কমে না।

আমলাদের কঠিন এক দাপুটে আমল চলছে এখন। পদে পদে বিড়ম্বনা। বাংলাদেশের আমলাকুল ক্ষমতাটা দেখাতে পারে নিরীহ জনগণকে। এ আমলে অবশ্য দেখাচ্ছে রাজনীতিবিদদেরও। শুধু ক্ষমতা নয়, একই সঙ্গে তারা দলীয় নেতা সাজারও চেষ্টা করছেন। যা কোনোভাবে ঠিক নয়। আবারও বলছি, রাজনীতিটা অবশ্যই রাজনীতিবিদদের করতে দেওয়া উচিত। সচিব বা আমলা রাজনীতিবিদ হতে চাইলে রাষ্ট্রযন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সমাজে অস্থিরতা তৈরি হয়। মিছিল-সমাবেশ রাজনৈতিক দল করবে। ভোট রাজনীতিবিদরা করবেন। এ নিয়ে অতি বেশি নাক গলানোর কিছু নেই। গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমলাদের অতিবাড়াবাড়ির সর্বনাশের খেসারত সরকারকে এখন দিতে হচ্ছে। আওয়ামী লীগ গণমানুষের রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান। কর্মীদের ওপর ভর করেই এ দল ক্ষমতায় আসে। শেখ হাসিনা জনগণের নেত্রী। এ দেশের সব আন্দোলন-সংগ্রাম, মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব আওয়ামী লীগ দিয়েছে। অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান দেয়নি। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য অবমাননার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগ কর্মীদের ঐক্য আরও দৃঢ় হয়েছে। খারাপ সময় দেখলে আওয়ামী লীগের সত্যিকারের কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ হন। নিজেদের বিভেদ ভুলে যান। জীবন দিয়ে নিজের অস্তিত্ব রক্ষা করেন। তাই প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মিছিল-সমাবেশে দেখতে চাই না। মিছিল-সমাবেশ আওয়ামী লীগ করুক। আপনারা আইনের শাসনের দিকে নজর দিন। কেউ আইনের শাসনের ব্যত্যয় ঘটালে ব্যবস্থা নিন। অতি উৎসাহ দেখাবেন না। অতি উৎসাহ সব সময় সর্বনাশ করে।

লেখক : সম্পাদক, বাংলাদেশ প্রতিদিন

Please follow and like us:

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ