লালমাই ফুটবল খেলা নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, আহত-৪

প্রকাশিত: ৬:৫৪ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৯, ২০২৪

লালমাই ফুটবল খেলা নিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, আহত-৪

কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী :
কুমিল্লার লালমাই উপজেলার বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের ধানওড়া গ্রামে ফুটবল খেলা নিয়ে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। শুক্রবার বিকেলে ধানওড়া গ্রামের উত্তর পাড়ার কিশোর গ্যাংয়ের ৩০-৩৫জন সদস্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে এ হামলার ঘটনা ঘটায়। হামলায় আহতরা হলেন, ধানওড়া গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার ব্যাটারীচালিত আটোরিক্সা চালক মাহবুবুল আলমের স্ত্রী তাহেরা বেগম (৪৫), তার ছেলে মোহাম্মদ মানিকের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার (১৮), মাহবুবের ভাই মোহাম্মদ সেলিমের স্ত্রী হাজেরা বেগম (৪৬) এবং এসময় হামলার ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করায় একই বাড়ির আমির হোসেনের বোনের মেয়ে জাকিয়া আক্তারকে (২০) পিটিয়ে আহত করে সন্ত্রাসীরা।

এ ঘটনায় ভূক্তভোগীরা জাতীয় জরুরী সেবা ৯৯৯ ফোন করে সহযোগীতা চাইলেও রাত ৯টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে কোন পুলিশ আসেনি। হামলাকারীরা মাহবুবুল আলমের ঘর থেকে নগদ ২লাখ টাকা ও দেড় ভরি স্বর্ণালংকার লুটকরে নিয়ে যায়। হামলার ঘটনার খবার পেয়ে সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন ভূঁইয়া গাজী ও ধানওড়া ওয়ার্ড ইউপি সদস্য আলী আক্কাস।
ধানওড়া গ্রামের ভূক্তভোগী অটোরিক্সা চালক মাহবুবুল আলম বলেন, আমাদের গ্রামের উত্তর পাড়ার ছেলেদের সাথে আমার ছেলে মোহাম্মদ মানিকের ফুটবল খেলা নিয়ে মাঠে বাকবিতন্ডা হয়।

এনিয়ে বিকেলে ধানওড়া উত্তর পাড়ার শাহাদাত, রাসেল, হাসান, গেদু, ই¯্রাফিল, রাজন, এয়াছিনের নেতৃত্বে ৩০-৩৫জনের সন্ত্রাসী বাহিনী ধারালো অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে প্রথমে আমার ঘর মনে করে আমার ভাই সেলিমের ঘরে হামলা ভাংচুর চালায় এবং পরে আমার ঘরে এসে হামলা ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এসময় ভাংচুরে বাঁধা দেয়ায় আমার স্ত্রী, পুত্র বধূ, আমার ভাইয়ের স্ত্রী, ও মোবাইলে হামলার ভিডিও ধারণ করায় আমাদের এক আত্মীয়েকে মারপিট করে। হামলাকারীরা আমার অটোরিক্সা বিক্রি করে ঘরে রাখা টাকা-সহ নগদ ২লাখ টাকা এবং আমার স্ত্রীর দেড় ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে যায়। আমি এ ব্যাপারে প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করছি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলাকারীদের না পাওয়ায় তাদের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন ভূঁইয়া গাজী বলেন, আমি হামলার ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। তাদের বাড়ি ঘরে ব্যাপক ভাংচুর চলানো হয়েছে। আমি এ বিষয়ে স্থানীয় মেম্বার-সহ সমাজ পতিদের দায়িত্ব দিয়েছি, তারা শালিসের তারিখ করলে আমি উপস্থিত থেকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপারে লালমাই থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please follow and like us:

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ