১০দিনেও সন্ধান মিলেনি স্বামী শাশুড়ির নির্যাতনে নিখোঁজ নাঙ্গলকোটের কিশোরীর

প্রকাশিত: ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ, নভেম্বর ১৩, ২০২২

১০দিনেও সন্ধান মিলেনি স্বামী শাশুড়ির নির্যাতনে নিখোঁজ নাঙ্গলকোটের কিশোরীর

মাঈন উদ্দিন দুলাল-  স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনে ঘর ছাড়া কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের পাইকোট গ্রামের কিশোরী সুমাইয়া আক্তারের ১০দিনেও সন্ধান মিলেনি। এ ঘটনায় সুমাইয়ার মা বাদি হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করলে রবিবার থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আবুল খায়ের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। গত ১০দিনে মেয়ের কোন সন্ধান না পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সুমাইয়ার পরিবার।
পরিবারিক সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের পাইকোট গ্রামের লাল শাহ ফকির বাড়ির বাচ্চু মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার কান্দাল বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়ে। গত ৩মাস পূর্বে পাশ্ববর্তী নোয়াখালী জেলার সেনবাগ উপজেলার ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের বিরাহিমপুর গ্রামের আবুল কালামের ছেলে ওমর ফারুক সুমাইয়ার পরিবারকে নানাহ রকম প্রলোভন দেখিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক মেয়েকে নোয়াখালির আদালতে নিয়ে বিয়ে করে। বিয়ের সময় ওমর ফারুক মেয়েটিকে ৩-৪ বছর পর উঠিয়ে নিবে এবং শ্বশুরের কাছে তার কোন কিছু চাওয়া পাওয়াও নেই বলে কথা দেয়। কিন্তু বিয়ের ২দিন পর সে তার স্ত্রীকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার দাবী করলে আত্মসম্মানের কথা চিন্তা করে সুমাইয়াকে তাদের বাড়িতে পাঠাতে বাধ্য হয় সুমাইয়ার পরিবার। বাড়ী নেয়ার ১৫ দিন পর থেকে শ্বশুর বাড়ি থেকে বিভিন্ন জিনিসপত্র ও ফার্নিচার কম পাওয়ার অযুহাতে সুমাইয়াকে মানসিক ও শারীরিক ভাবে নির্যাতন শুরু করে স্বামী ওমর ফারুক ও তার মা নুরজাহান বেগম। নির্যাতন সইতে না পেরে ৩ মাসে ২বার বাবার বাড়িতে এসে স্বামীর বাড়িতে আর না যাওয়ার দাবি তুললেও আমলে নেয়নি তার বাবা-মা। সর্বশেষ গত ৪ নভেম্বর শুক্রবার স্বামী ও শাশুড়ির নির্যাতনে বাবার বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়িতে যাওয়ার কথা বলে ঘর ছাড়ে কিশোরী সুমাইয়া।
সুমাইয়ার পিতা বাচ্চু মিয়া বলেন, জামাই ও তার মায়ের নির্যাতন সইতে না পেরে আমার মেয়ে কয়েক বার তাদের বাড়িতে যেতে না চাইলেও আমরা জোর করে তাকে শ্বশুর বাড়িতে পাঠিয়েছি। আমার মেয়েকে তার স্বামী-শাশুড়ি গুম করেছে, না সে নির্যাতন সইতে না পেরে কোথাও আত্মগোপন করে আছে আমি জানিনা। আমি প্রশাসনের কাছে আমার মেয়েকে খোঁজে পেতে সহযোগীতা চাই।
সুমাইয়ার অভিযুক্ত স্বামী ওমর ফারুক বলেন, আমি জোর করে বিয়ে করিনি, আমার শাশুড়ি সুমাইয়ার অমতে কোর্টে নিয়ে আমার কাছে বিয়ে দিয়েছে। সুমাইয়া আমাকে বলেছে তার অন্য ছেলের সাথে সম্পর্ক আছে, আমার মনে হয় সে তার প্রেমিকের কাছে চলে গিয়েছে।
নাঙ্গলকোট থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক আবুল খায়ের বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ