বাঙ্গড্ডা পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় প্রবাসী স্বামীর বাড়ি ভাঙচুর 

প্রকাশিত: ৯:২৭ পূর্বাহ্ণ, এপ্রিল ৩, ২০২৩

বাঙ্গড্ডা পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় প্রবাসী স্বামীর বাড়ি ভাঙচুর 

মোঃ সাইফুল ইসলাম- নাঙ্গলকোট উপজেলা বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন নুরপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া আসক্ত হওয়া খাদিজা আক্তার রিয়া সোমবার সকালে তার মা লাইলী বেগম ভাই জিয়াউর রহমান বাবা সালেহ আহমদসহ ৪-৫ জন মিলে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

 

জানা যায়;নুরপুর গ্রামের দুবাই প্রবাসী সাইফুল ইসলাম একই বাড়ির চাচাতো বোন খাদিজা আক্তার রিয়াকে ২০১৪ সালে বিয়ে করেন বিয়ের পর স্ত্রী খাদিজা আক্তার রিয়াকে ২০১৬ সালে দুবাই নিয়ে যান, দীর্ঘ ৬ বছর দুবাই থাকার পর প্রবাসে খাদিজা আক্তার রিয়া পরকীয়ায় আসক্ত হয়ে পড়ে, স্বামী সাইফুল ইসলাম তা জানতে পারে।

এরপরই তাদের মধ্যে মতবিরোধের দেখা দেয়,২০২২ সালে সাইফুল তার স্ত্রী খাদিজা আক্তার রিয়াকে দেশে পাঠিয়ে দেয়,এর মাঝে খাদিজা আক্তার রিয়ার পরকীয়া প্রেম বেড়েই চলতে থাকে,প্রবাসী সাইফুল ইসলামের অর্থায়নে ঢাকায় ৩৫ লক্ষ টাকা দিয়ে খাদিজা তার মায়ের নামে কৌশলে একটি প্লাট নিজেদের নামে ক্রয় করে নেয়।

 

প্রবাসী সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান;খাদিজা আক্তার রিয়া বিভিন্ন সময় তাকে ব্ল্যাকমেইল করে নগদ আট লক্ষ টাকা ও ২০ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে আসে, এতসব করার পরেও প্রবাসী সাইফুল ইসলাম স্ত্রী খাদিজার সাথে সংসার করার চেষ্টা করে এবং সংসার টিকিয়ে রাখার জন্য গ্রামের বাড়ি নুরপুরে ৮০- ৯০ লক্ষ টাকা দিয়ে একটি বিল্ডিং ঘর নির্মাণ করে,এরপরেও স্ত্রী খাদিজা আক্তার রিয়া পরকীয়া চালিয়ে যায়,খাদিজা পরকীয়া থেকে সরে আসতে পারেনি,সে জন্য খাদিজা তার বাবার বাড়ীতে থাকতেন।

 

প্রবাসী সাইফুল ইসলামের নতুন বিল্ডিং ঘরটি গত কয়েক দিনের আগে সম্পূর্ণ কাজ শেষ হয়েছে আজ ৩এপ্রিল সোমবার সকালে প্রবাসী সাইফুল ইসলামের স্ত্রী খাদি ডাক্তার রিয়া, শাশুড়ি লাইলী বেগম, শশুর সালেহ আহমদ,শ্যালক জিয়াউর রহমানসহ কয়েকজন মিলে বিল্ডিং ঘরটি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।

 

এ বিষয়ে প্রবাসী সাইফুল ইসলামের শাশুড়ি লাইলী বেগমের সাথে কথা বললে তিনি বলেন;আমার মেয়ের জামাই সাইফুল গতকাল রাতে দুবাই বিয়ে করেছে,এজন্যই আমি রাগে ক্ষিপ্ত হয়ে ভাঙচুর করি।

 

স্ত্রী খাদিজা আক্তার রিয়া বলেন;সাইফুল আমার চাচাতো ভাই সে ২০১৫ সালে আমার মতের বিরুদ্ধে জোর করে বিয়ে করে দুবাই নিয়ে যায়,দীর্ঘদিন দুবাইতে একসাথে ছিলাম আমার কোন সন্তানাদি হয় না বিধেয় সে আরেকটি বিয়ে করার চেষ্টা করে সেটা আমি জানতে পারলে আমাকে সে দেশে পাঠিয়ে দেয় এবং কোন খোজ খবর নেয় না, কাল আমি জানতে পারি সে দুবাইতে বিয়ে করেছে মানসিকভাবে স্থির থাকতে না পেরে আমি ভাঙচুর করি।

 

এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম বলেন ;আজকের বিষয়টি সম্পর্কে আমি ফোনে অবগত হয়েছি, বিষয়টি শুনে খুবই খারাপ লেগেছে, কাজটি মোটেও সমীশীন হয়নি, আমি বিগত কয়েকদিন আগে বিষয়টি সামাজিকভাবে সমাধান করার চেষ্টা করেছিলামএবং সাইফুলের শাশুড়িকে বলেছি তার পাওনা টাকা বুঝেয়ে দিয়ার জন্য,তার সাথে মেয়েটিকে সংসারকরার জন্য বলেছি তারা এ রায় মানেনি,রায়টি না মানায় এক পর্যায়ে আমি উঠে চলে আসি।

 

নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেন বলেন; আমি ৯৯৯থেকে একটি কল পা ইএবং বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারি সাথে সাথে পুলিশ ফোর্স পাঠিয়েছি লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ