নাঙ্গলকোটে বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিক আহত

প্রকাশিত: ২:০৫ অপরাহ্ণ, মে ১২, ২০২১

নাঙ্গলকোটে বিএনপি’র দু’গ্রুপের সংঘর্ষে সাংবাদিক আহত

আব্দুর রহিম বাবলু-
নাঙ্গলকোট উপজেলা বিএনপির সভাপতি নজির আহমেদ ভূঁইয়ার বাড়িতে ১২মে বুধবার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুব কল্যাণ ফান্ড নামে একটি সংগঠন ঈদ সামগ্রী ও নগদ অর্থ বিতরণ করার জন্য অংশগ্রহণ করেন এবং নগদ অর্থ ও ঈদ সামগ্রী বিতরণের আগ মুহূর্তে অতর্কিত হামলা চালিয়ে বিএনপি’র সভাপতি নজির আহমেদ ভূঁইয়ার অফিস ভাঙচুর, ঈদ সামগ্রী ও নগদ দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।

এ সময় নাঙ্গলকোট সাংবাদিক সমিতির ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক ,বর্তমান টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও জাতীয় দৈনিক সকালবেলা পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক মু. শাহাদাত হোসেন তার দায়িত্ব পালনকালে নাঙ্গলকোট পৌরসভার হরিপুর গ্রামের যুবদল নেতা আবদুস সাত্তার, হরিপুর আমজাদ বাড়ির যুবদল নেতা আল আমিন, ফতেপুর গ্রামের যুবদল নেতা আলমগীর গং, নারুয়া যুবদল নেতা সুজন, হরিপুর গ্রামের যুবদল নেতা শাহরিয়ার ইসলাম রবিন, হরিপুর গ্রামের যুবদল নেতা নাসির উদ্দিন অতর্কিত হামলা করে মারাত্মক আহত করেন এবং ক্যামেরা, মোবাইল ও মানিব্যাগ নিয়ে যায়।

হামলার খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বাপ্পি মজুমদার ইউনুস ও সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মু. সাইফুল ইসলাম সবুজ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।ঘটনার সত্যতা যাচাই করে নাঙ্গলকোট থানায় অবগত করেন।আহত সাংবাদিককে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে করেন নাঙ্গলকোট থানার এসআই সোহেল।

এ বিষয়ে সাংবাদিক সমিতির সভাপতি বাপ্পি মজুমদার ইউনুস বলেন; এই নেককার ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। অভিযুক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। কোন অবস্থাতে এই ঘটনাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে দিব না।

বিএনপির সভাপতি নজির আহমেদ ভূঁইয়া বলেন; আমি এ বিষয়ে কিছুই জানি না তবে ঘটনা ঘটে যাওয়ার পর আমাকে মুঠোফোনে জানিয়েছে ,আমি খবরটি শুনে মর্মাহত হয়েছি। যারা এ হামলা চালিয়েছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মাহমুদ হোসেন মজুমদার মাসুদ বলেন আমি শান্তিপূর্ণ প্রোগ্রাম করতে ছিলাম হঠাৎ নাঙ্গলকোটের কিছু নামধারী কয়েক জন যুবদল নেতা আমার প্রোগ্রামে হামলা করেন এবং ঈদ সামগ্রী ও নগদ দুই লক্ষ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যান। সে সময় কর্তব্যরত সাংবাদিক সহ আমার কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে। আমি দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিবো।

নাঙ্গলকোট থানার তদন্ত কর্মকর্তা বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন ঘটনার বিষয়ে আমি অবগত হয়েছি এবং তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছি, অভিযোগ পেলে আমি আইনগত ব্যবস্থা নেব।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ