প্রকাশিত: ১১:২১ পূর্বাহ্ণ, অক্টোবর ১৯, ২০২৩
মাঈন উদ্দিন দুলাল- নাঙ্গলকোট পৌরসভার দক্ষিণ জোড়পুকুরিয়া গ্রামে জ্যাঠাইমা’র সাথে পরকীয়া প্রেম করে বিয়ে করেন দেবর পুত্র। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে জেঠির সাথে বাহরাইন প্রবাসী ভাতিজা নয়নের ৭ লাখ টাকা দেন মোহরে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে। পরকীয়া প্রেমিক নয়ন দক্ষিণ জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। জেঠি স্বপ্না একই গ্রামের প্রবাসী আব্দুল আজিজের স্ত্রী। আব্দুল আজিজ ও স্বপ্না দম্পতির ১০ বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নাঙ্গলকোট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আনু মিয়ার ছেলে প্রবাসী আব্দুল আজিজ ২০১২ সালে পারিবারিক ভাবে বিয়ে করে একই উপজেলার পেরিয়া এলাকার গাজী মাইনুদ্দিনের মেয়ে হোসনা আক্তার স্বপ্নাকে। আজিজ ও স্বপ্না দম্পতির সুখের সংসারে আসে এক কন্যা সন্তান। এরপর আব্দুল আজিজ প্রবাসে চলে গেলে তার ছোট ভাই মফিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ নয়ন তার স্ত্রীর সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। এই ঘটনায় ২০২১ সালে স্বপ্না ও আজিজ দম্পতির সংসার ভেঙ্গে যায়। সংসার ভাঙ্গার সালিশে আব্দুল আজিজ তার স্ত্রীকে দেয়া স্বর্ণালংকার ছাড়াও নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়। প্রথম স্বামী আব্দুল আজিজের সাথে তালাকের কয়েক দিন পর নাঙ্গলকোট পৌরসভা নিকাহ্ রেজিস্টারের কার্যালয়ে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মোবাইল ফোনে স্বপ্নাকে বিয়ে করেন প্রবাসী ভাতিজা নয়ন। বিয়ের বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপন থাকার পর গত সপ্তাহে নয়ন বাহরাইন থেকে দেশে আসলে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রেমিকা স্বপ্নার সাথে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যায়, পরে স্বপ্না পেরিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্টারের সহকারী মোহাম্মদকে ডেকে নিয়ে ভোররাতে দেবর পুত্র নয়নকে দ্বিতীয় বার বিয়ে করে।
স্বপনার প্রথম স্বামী আব্দুল আজিজ বলেন, আমার স্ত্রী স্বপ্না আমার ছোট ভাইয়ের ছেলের সাথে পরকীয়া করে আমার ১০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। পরে আবার পেরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদের বাড়িতে শালিস বৈঠক বসে আমি আরো আড়াই লাখ কাবিনের টাকা পরিশোধ করতে হয়।
পরকীয়া প্রেমিক নয়ন বলেন, আপনাদেরকে কে বলেছে। সব মিথ্যা।
পরকীয়া প্রেমিকা হোসনা আক্তার স্বপ্না বলেন, আমার আগের স্বামীর সাথে আমার প্রায় ৩ বছর পূর্বে তালাক হয়ে গেছে। ওই বাড়ির কোন ছেলে আমাকে পছন্দ করে বিয়ে করলে এখানে আমার কি দোষ।
পেরিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্টার তাজুল ইসলাম বলেন, কনে, তার মা ও এলাকার লোকদের অনুরোধে গিয়ে তাদের বিয়ে রেজিষ্ট্রি করা হয়েছে।
প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক-শফিকুর রহমান চৌধুরী (এম এ)
বার্তা সম্পাদক- মাঈন উদ্দিন দুলাল
সহ-সম্পাদক- মোহাম্মদ আল আমিন
প্রধান সম্পাদক-০১৬০১৯২০৭১৩
নির্বাহী সম্পাদক-০১৯১১২৫৭৪৯৬
বার্তা সম্পাদক-০১৭১৬০২১১৪৫
ইমেল-nangalkottimes24@gmail.com
জোড্ডা বাজার,নাঙ্গলকোট,কুমিল্লা।
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৪-২০২৪।
ফেইসবুক- facebook.com/nangalkottimes24
Design and developed by AshrafTech