২০ বছর পর বেতন ভাতা পাওয়ার সংবাদে খুশিতে প্রধান শিক্ষিকার মৃত্যু

প্রকাশিত: ১১:৪২ পূর্বাহ্ণ, ফেব্রুয়ারি ৪, ২০২১

২০ বছর পর বেতন ভাতা পাওয়ার সংবাদে খুশিতে প্রধান শিক্ষিকার মৃত্যু

মাঈন উদ্দিন দুলাল, নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি ॥
নাঙ্গলকোট উপজেলার সদরের বেগম জামিলা বালিকা উচ্চ দিব্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত সাবেক প্রধান শিক্ষিকা শামিমা আক্তার আইনি জটিলতার কারনে ২০ বছর সরকারী বেতনভাতা থেকে বঞ্চিত হন। এ অবস্থায় ২০১৬ সালে তিনি এক বুক বেদনা নিয়ে শূণ্য হাতে অবসরে চলে যান, কিন্তু চালিয়ে যান আইনি লড়াই। সবশেষে ৪ ফেব্রুয়ারী বৃহস্পতিবার সকালে নাঙ্গলকোট জনতা ব্যাংকে এমপিও সিটে তার নাম ও বকেয়া বেতন ১০ লাখ ১৪ হাজার ১২০টাকা যুক্ত হন। এ সংবাদ একই স্কুলের শিক্ষক সহকর্মী মোস্তফা মনিরের মাধ্যমে জানতে পেরে শিক্ষিকা শামিমা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই আনন্দে আত্মহারা হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি।
জানা যায়, কুমিল্লা মডার্ণ হাইস্কুলের সাবেক প্রধান শিক্ষক নাঙ্গলকোট আদ্রা ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামের কলিমুল্লাহ মজুমদারের মেয়ে শামিমা আক্তার চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় অনার্স, মাস্টার্স শেষ করে নাঙ্গলকোট হাছান মেমোরিয়াল কলেজে শিক্ষকতা শুরু করেন। পরে তিনি ১৯৮৫ সালে নাঙ্গলকাট বেগম জামিলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষিকা হিসেবে যোগ দান করে দীর্ঘ ৩২ বছর শিক্ষকতা করেন। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলে এমপিও থেকে তার নাম বাদ পড়ে যায়। এরপর তিনি দীর্ঘ ২০ বছর আইনি লড়াই করে বিদ্যালয় কমিটির মামলাকে মিথ্যা প্রমাণ করে রায় পান। রায় পাওয়ার পরও তার সরকারী বেতন বন্ধ থাকে। ২০১৬ সালে তিনি বিদ্যালয় থেকে অবসর গ্রহণ করে স্বামী, এক ছেলে ও দু’ মেয়েকে নিয়ে কুমিল্লা শহরে বসবাস করে আসছে। এক বছর পূর্বে তার স্বামী কুমিল্লা জেলা স্কুলের অবসর প্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মুন্সিরহাট এলাকার চান্দপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানও মৃত্যু বরণ করেন। বৃহস্পতিবার এক সহকর্মীর মাধ্যমে তার বেতন এমপিও সিটে যোগ করার খবর শুন্তে পেয়ে তিনি খুশিতে কাঁদতে কাঁদতে পরপারে পাড়ি জমান।

Please follow and like us:

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ