নাঙ্গলকোট হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

প্রকাশিত: ৩:৫৫ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ১১, ২০২০

নাঙ্গলকোট হানাদার মুক্ত দিবস পালিত

মু.সাইফুল ইসলাম সবুজ-

আজ ১১ ডিসেম্বর কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলা হানাদার মুক্ত দিবস উপলক্ষে মোমবাতি প্রজ্বলনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা হয় ।উপজেলা নির্বাহি অফিসার লামইয়া সাইফুল এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান শামসুদ্দিন কালু।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ ভূঁইয়া, পৌর মেয়র আব্দুল মালেক,আওয়ামী লীগের পৌর মেয়র প্রত্যাশী মজিবুর রহমান মিন্টু, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক সুমন, এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্রলীগ,যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দ।
১৯৭১ সালের আজকের এ দিনে এ অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধা ও জনসাধারণের তুমুল প্রতিরোধের মুখে নাঙ্গলকোট এলাকা থেকে পাক হানাদার বাহিনী বিতাড়িত হয়।

জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর জুলাই মাসের প্রথম দিকে পাক হানাদার বাহিনী উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট ব্রীজ সংলগ্ন ভূঁইয়া পুকুর পাড় এলাকাকে মিনি ক্যান্টেমেন্টে পরিণত করে। স্থানীয় রাজাকার, আলবদরের সহযোগিতায় অনেক মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ কয়েক‘শ লোকজনকে ধরে নির্যাতন করে নির্মমভাবে হত্যা করে পাশ্ববর্তী ডাকাতিয়া নদীতে লাশ ভাসিয়ে দিতেন। অনেক নারী পাক হানাদার বাহিনীর হাতে নির্যাতিত হয়েছেন।

এছাড়া নাঙ্গলকোট উপজেলাসদরসহ মৌকারা ইউনিয়ন বড় দীঘির পাড়, ঢালুয়া ইউনিয়নের হাসানপুর রেলস্টেশন এবং তেজেরবাজার এলাকায়ও পাকহানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাসহ নিরীহ মানুষের উপর নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায়।

২০০৬ সালে তৎকালীন আওয়ামীলীগ দলীয় সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া পাকহানাদার বাহিনীর নির্মম হত্যাকান্ডের নিরব স্বাক্ষী ডাকাতিয়া নদী সংলগ্ন বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের পরিকোট নামক স্থানে বধ্যভূমির একটি নামফলক উন্মোচন করেন। গত ১৫বছরেও সরকারিভাবে পরিকোট বধ্যভূমির স্থানটি সংরক্ষণে কোন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি। এছাড়া অন্যান্য এলাকাগুলোও সংরক্ষণের উদ্যোগ নেয়া হয়নি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল বলেন, পরিকোট বধ্যভূমি সংরক্ষেণ উদ্যোগ নেয়া হবে। ইতিমধ্যে হেসাখাল ইউনিয়নের দু‘জন এবং বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কবর সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ