নাঙ্গলকোটে ব্যবসায়ীর বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভাংচুর ॥ আটক-১

প্রকাশিত: ২:৩৫ অপরাহ্ণ, নভেম্বর ১৯, ২০২১

নাঙ্গলকোটে ব্যবসায়ীর বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভাংচুর ॥ আটক-১

স্টাফ রিপোর্টার : নাঙ্গলকোটের পশ্চিম খাঁড়ঘর গ্রামের মাহবুবুল হক মজুমদারের নির্মাণাধীন বাড়ীতে তার ভাই গাজীউল হক মজুমদারের ছেলে কামরুল হক মজুমদার ও কামরুলের ভাগিনা ইমান হোসেন শিশিরের নেতৃত্বে মঙ্গলবার সকালে সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারীরা মাহবুবুল হক মজুমদারের বাড়ীর সীমানা প্রাচীর ভাংচুর করে অন্তত ১০লাখ টাকার ক্ষতি করেছে বলে দাবী ভূক্তভোগীদের। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মাহবুবুল হক মজুমদারের ভাতিজা মোতমাইনুল হক মজুমদার বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ’সহ ২০ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। পরে ঘটনার নেতৃত্বে থাকা ইমান হোসেন শিশিরকে আটক করে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পশ্চিম খাঁড়ঘর গ্রামের মৃত গাজীউল হক মজুমদারের পরিবারের সাথে তার ভাই মাহবুবুল হক মজুমদারের সাথে দীর্ঘদিন যাবৎ জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছে। এর জেরে ব্যবসায়ী মাহবুবুল হক মজুমদারের নিমার্ণাধীন বাড়ীতে কয়েক দফা নিমার্ণ কাজে বাধা দেয়। সর্বশেষ গত মঙ্গলবার কামরুল হক মজুমদার ও তার ভাগিনা ইমান হোসেন শিশিরের নেতৃত্বে ২০ জনের সন্ত্রাসী গ্রুপ দেশীয় অস্ত্রশস্্র নিয়ে হামলা চালিয়ে সিরামিক ইট দ্বারা নির্মিত সীমানা প্রাচীর ভেঙ্গে পেলে। হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলো, পশ্চিম খাঁড়ঘর গ্রামের কামরুল হক মজুমদার, নাজমুল হক মজুমদার, মুর্শিদা হক মজুমদার, শ্রীরামপুর গ্রামের ইমান হোসেন শিশির, একই গ্রামের হৃদয় মোল্লা ও মীর সোহরাব হোসেন বিপ্লব, দাশনাই পাড়া গ্রামের তানভীর হোসেন বাপন, একই গ্রামের ফাহাদ মিয়াজী ও নাদিম মিয়াজী, বেকামলিয়া গ্রামের ছালেহ উদ্দিন ও একই গ্রামের রুবেল, পূর্ব খাঁড়ঘর গ্রামের আকিব’সহ ২০জন। সীমানা প্রাচীর ভাংচুরের সময় ওই বাড়ী নিমার্ণকারী ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান গ্রাউন ওয়ান ডেভলপমেন্ট কোম্পানীর লোকজন বাধা দিলে তাদেরকে হত্যার হুমকি দেয় হামলাকারীরা।
ভূক্তভোগী মাহবুবুল হক মজুমদার বলেন, আমারা ৩ ভাই ৭ বোন আমাদের ৪ মৌজায় পৈত্তিক সম্পত্তি ৩০ একর রেখে আমার বাবা পরলোক গমণ করেন। আমরা প্রতি ভাই সাড়ে ৪ একর সম্পত্তির মালিক হই। কিন্তু আমার বড় ভাই মৃত গাজীউল হক মজুমদার এ সম্পত্তি থেকে উনার জীবদশায় সাড়ে ৬ একর সম্পত্তি বিক্রয় করে দেয়। যার ফলে আমরা ভাই বোনেরা উনার কাছে আরো কিছু ু সম্পত্তি পাওনা থাকি । এখন আমার ভাতিজারা উল্টো আমার কাছে সম্পত্তি পাবে মর্মে কয়েক দফা আমার বাড়ীর নির্মাণ কাজে বাধা দেয় এবং গত মঙ্গলবার আমার বাড়ীর বাউন্ডারী ওয়াল ভেঙ্গে ফেলে ও নির্মাণ শ্রমিকদের হত্যার হুমকি দেয়।
অভিযুক্ত কামরুল হক মজুমদারের মোবাইল ফোন নাম্বারে শুক্রবার সন্ধ্যায় একাধিক বার ফোন করেও উনার বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।
নাঙ্গলকোট থানা উপপরিদর্শক ইয়ামিন সুমন বলেন, মামলায় এজাহার নামীয় আসামী ইমান হোসেন শিশিরকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ