নাঙ্গলকোটে প্রেমের বিয়ে মেনে নিতে না পেরে অপহরণ মামলা!

প্রকাশিত: ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ, আগস্ট ১২, ২০২৩

নাঙ্গলকোটে প্রেমের বিয়ে মেনে নিতে না পেরে অপহরণ মামলা!

মোঃ শাহাদাত হোসেন- নাঙ্গলকোটে মেয়ের প্রেমের বিয়ে মেনে নিতে না পেরে মেয়ের জামাই-সহ একই পরিবারের চারজনের বিরুদ্ধে অপহরণ মামলা করা হয়েছে। মামলার ৩ নং আসামি মোস্তফাকে পুলিশ গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। ভোক্তভূগী পরিবার সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বক্সগঞ্জ ইউপির চান্দপুর গ্রামের মৃত মুন্সি মিয়ার ছেলে রবিউল (২৩) ও একই গ্রামের জাহাঙ্গীরের মেয়ে বিবি মরিয়ম (১৮) চলতি বছরের জুলাইয়ের ১৭ তারিখ কোর্ট এফিডেভিডের মাধ্যমে পালিয়ে বিয়ে করেন। বিয়ের বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ২ আগষ্ট বিবি মরিয়রের বাবা জাহাঙ্গীর বাদি হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করেন। বিয়ের কাবিন ও কোর্ট এভিডেভিডের তথ্য অনুযায়ী তারা উভয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক। তবে মামলায় ছেলে মেয়ে উভয়ের বয়স কমিয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলের ২১ বছর এবং মেয়ের ১৩ বছর উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলায় জামাই রবিউল হোসেন, তার সেজো ভাই আমির হোসেন, তার বড় ভাই মোস্তাফা ও তার বোন তাজনেহার বেগমকে আসামি করা হয়। পরে বাদি পক্ষে শুক্রবার (১১ আগষ্ট) জামাইের বড় ভাই মোস্তাফাকে আটক করে মারধর করে পুলিশে হস্তান্তর করেন বলে জানান মোস্তফার পরিবার। তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেন নাঙ্গলকোট থানার এসআই উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস। কল রেকর্ড সুত্রে জানা যায়, বিবি মরিয়রের পরিবার তাদের পালিয়ে বিয়ে করার বিষয়টি সম্পর্কে অবগত রয়েছে। এবং বারবার মরিয়রকে বাড়িতে চলে আসার জন্য অনুরোধ করে তার মা নাছিমা বেগম। একপর্যায়ে মরিয়ম আসতে রাজি না হলে মরিয়মের জামাই রবিউলকে মারধর ও মামলার হুমকি দেয়। পালিয়ে বিয়ে করার বিষয়ে নিশ্চিত হওয়ার পরেও অপহরণ মামলা কেন দেওয়া হয়েছে জানতে চাইলে মামলার বাদি জাহাঙ্গীর বলেন, এটি পুলিশ জানে, পুলিশকে জিজ্ঞেস করেন। নামলকোট থানার উপ-পরিদর্শক উজ্জ্বল চন্দ্র বিশ্বাস বলেন, শুক্রবার একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, শনিবার আটককৃত মোস্তাফাকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ