নাঙ্গলকোটে ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা

প্রকাশিত: ১:৫৮ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ২২, ২০২৫

নাঙ্গলকোটে ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা
কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী:

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে “রিজিলিয়েন্ট আরবান এ্যান্ড টেরিটরিয়াল ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট” (আরইউটিডিপি) এর দিনব্যাপী ক্লাস্টার ডেভেলপমেন্ট পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার নাঙ্গলকোট পৌর অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন নগর পরিকল্পনাবিদ মো: আব্দুর রকিব খান। কর্মশালায়  উপস্থিত ছিলেন আরইউটিডিপি কুমিল্লার এসএমই মো: আব্দুল কুদ্দুস, নাঙ্গলকোট পৌরসভা নির্বাহী প্রকৌশলী জোবায়দা ইয়াসমিন, পৌর নির্বাহী কর্মকর্তা হারুনুর রশিদ, সার্ভেয়ার মোহাম্মদ রবিউল হোসেন।

কর্মশালায় আরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, নগর পরিকল্পনাবিদ তামান্না সালাম, আর্কিটেক্ট ফারহানা ইসলাম, ডিজাইন ইঞ্জিনিয়ার সানিম আরেফিন, পরিবেশ বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ আল আমিন, সামাজিক ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম।

এছাড়াও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন টাউন লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (টিএলসিসি) সদস্য বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ বশিরুজ্জামান, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী নাঙ্গলকোট উপজেলা সাবেক আমির মাস্টার আব্দুল করিম, নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাঈন উদ্দিন দুলাল, নাঙ্গলকোট পৌরসভা বিএনপি নেতা সাবেক কাউন্সিলর ইউসুফ আলী, মাস্টার ওমর ফারুক, কামরুজ্জামান কুমু, ধাতিশ্বর স্কুল এন্ড কলেজ শিক্ষক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ-সহ টাউন লেভেল কো-অর্ডিনেশন কমিটি (টিএলসিসি) অন্যান্য সদস্য বৃন্দ।

সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিল্টন চাকমা বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে নাঙ্গলকোট পৌরসভায় আধুনিক ও জলবায়ু সহনশীল নগর ব্যবস্থাপনা গড়ে উঠবে। রাস্তা, ড্রেন, সড়কবাতি, বাজার, পাবলিক টয়লেটসহ নাগরিক সেবার উন্নয়ন ঘটবে। স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে লাকসাম একটি আধুনিক ও সবুজ পৌরসভা হিসেবে গড়ে উঠবে।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, (আরইউটিডিপি) বাংলাদেশের নিজস্ব বিনিয়োগ প্রকল্প, বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে এলজিইডির অধীনে জুলাই ২০২৪ সাল থেকে জুন ২০৩০ পর্য্যন্ত ৬ বছর মেয়াদে এ প্রকল্পগুলো বাস্তবায়িত হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে প্রকল্পের আওতায় জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নত নগর অবকাঠামো ও সুবিধাদি নির্মিত হবে এবং এর ফলে ৮১টি পৌরসভা ও ৬টি সিটি কর্পোরেশনে বসবাসরত ১ কোটি ৭০ লক্ষ জনগণ এবং প্রকল্পের ইন্টারভেনশনস হতে গ্রোথ করিডোরে বসবাসরত নগর, গ্রামীণ ৪৬ লক্ষ জনগণ উপকৃত হবে।

এছাড়া প্রকল্পের আওতায় রাস্তা ও ফুটপাত, সড়কবাতি উন্নয়ন, ড্রেন নির্মান, পাবলিক টয়লেট, বাজার ও বাস টার্মিনাল উন্নয়ন, সুপার মার্কেট ব্রীজ ও কালভাট নির্মাণ, পৌরভবন নির্মাণসহ আধুনিক নগর সেবার বিভিন্ন দিক উন্নয়ন করা হবে। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন এই প্রকল্প সামাজিক ও পরিবেশগত, জলবায়ু সহনশীল নগর পরিসেবা দিক বিবেচনা করে এবং নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে পরিচালিত হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ