সাংবাদিক এ.এস.এম. সায়েম মাহবুব মজুমদারের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

প্রকাশিত: ৪:১২ অপরাহ্ণ, মে ২২, ২০২৫

সাংবাদিক এ.এস.এম. সায়েম মাহবুব মজুমদারের দ্বিতীয় মৃত্যু বার্ষিকী পালিত

মাঈন উদ্দিন দুলাল- দক্ষিণ কুমিল্লার এক নিবেদিত প্রাণ ছিলেন সাংবাদিক  এ.এস.এম. সায়েম মাহবুব।২০২৩ সালের ২১ শে মে, দুপুর  ২.৩০ মিনিটের সময়  ঢাকা পিজি হাসপাতালে তথা দক্ষিণ কুমিল্লার নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাব উপদেষ্টা  ও নাঙ্গলকোট বাসীর অত্যন্ত প্রাণ প্রিয় ব্যক্তিত্ব, অধ্যক্ষ ও সাংবাদিক এ.এস.এম. সায়েম মাহবুব মজুমদার ইন্তেকাল করেন, ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।

আজকের এই  দিনটিতে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় তাকে স্বরণ করছি। তার অসাধারন কর্মযজ্ঞ সমাজের প্রত্যেকটি শ্রেণীর  তথা সমাজের আবাল বৃদ্ধাবণিতা  তাকে স্বরণ করে দোয়া করেন। তার একনিষ্ঠ কর্মযজ্ঞ বিশেষ করে নাঙ্গলকোটের শিক্ষা ক্ষেত্রে এক আমূল পরিবর্তন এনেছেন। ধাতীশ্বর গ্রাম থেকে শুরু করে নাঙ্গলকোট উপজেলার ৮৭.২৪ বর্গমাইলের অন্তর্গত প্রাইমারি, হাইস্কুল, কলেজ এবং মক্তব মাদ্রাসার সাথে তার সম্পৃক্ততা ছিল অসীম। এই প্রথিতযশা শিক্ষানুরাগী নাঙ্গলকোট উপজেলার বত্রিশটি অজো পাড়া গ্রামের শিক্ষা ক্ষেত্রে যাদের শিক্ষার কোন সংশ্লিষ্টতা ছিলো না, তৎকালীন সময়ে পত্র পত্রিকা, ম্যাগাজিনে বার বার তার ক্ষুরধার লেখনী এবং কলম যুদ্ধের মাধ্যমে স্কুল গুলোর আত্বপ্রকাশ এর লক্ষ্যে সবার মাঝে পরিচিতি উপস্থাপন করেছেন। প্রথমত ঢাকা মানিক নগর বি এম কারিগরী ও বানিজ্য কলেজ, নাঙ্গলকোট কারিগরি ও বানিজ্য কলেজ এবং ধাতীশ্বর আহমেদ দেলোয়ারা স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠা ছিল এই উল্লেখযোগ্য ব্যক্তি বিশেষ নিদর্শন। উল্লেখ্য যে, ধাতীশ্বরের ঐতিহ্যবাহী ও বনেদি পরিবারের সন্তান মিসেস জোয়ারদা ম্যাডামের একক জায়গা দান। এই জায়গার উপর শত বাধা বিপত্তির মাঝেও এ.এস.এম. সায়েম মাহবুব স্কুল কলেজ গুলো প্রতিষ্ঠা করে উল্লেখযোগ্য ভাবে বিশেষ অবদান রেখেছেন। সমাজের বহু বিত্তবান, শিক্ষিত লোক থাকা সত্ত্বেও সফলতা ও বুদ্ধির পরিচয় দিতে তারা সমর্থ হন নি। আরও উল্লেখ্য যে, প্রত্যেকটি প্রশাসনের উচ্চ ব্যক্তিবর্গ অধ্যক্ষ এ.এস.এম. সায়েম মাহবুব কে ঐকান্তিকভাবে সহয়োগীতা করেছেন। সাবেক সচিব মি. আবু-তালেব, সচিব আব্দুল আউয়াল সাহেব, অধ্যক্ষ প্রফেসর রাশেদুজ্জামান সাহেব ও প্রয়াত সাবেক সংসদ সদস্য জয়নাল আবেদীন ভূঁইয়া । এছাড়া নাঙ্গলকোট কারিগরি স্কুল, নাঙ্গলকোট শিশু ও কারিগরি স্কুল, নাঙ্গলকোট শিশু কল্যান সংস্থা যাহা আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে পরিচিত। ধাতীশ্বর আজহর আলী কারিগরী ও কর্মমুখী শিক্ষা মহাবিদ্যালয় তার অনন্য অবদানের স্বাক্ষর রেখেছেন।

তাছাড়া ধাতীশ্বর গ্রামের অত্যন্ত প্রিয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে তার কর্ম ও কর্ম পরিকল্পনায় স্বাক্ষর রেখেছেন। বিগত সরকারের নূন্যতম যা বাজেট ছিলো তার মধ্যে তিনি তার সর্বোচ্চ চেষ্টায় আকাংখার বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করেছেন। বিগত সময়ে পৌর উপদেষ্টা হিসেবে থাকা কালীন ধাতীশ্বর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় তলা বিল্ডিং স্থাপনে ফ্যসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট কে সার্বিক পরামর্শক, ধাতীশ্বর মিয়া বাড়ি থেকে নয়া পুকুর (বাচ্চু মিয়া সড়ক আবেদিত) নামে অভিহিত করণ এবং সড়ক টি সম্পন্ন করণ এবং ধাতীশ্বর মজুমদার বাড়ি সংলগ্ন অধ্যক্ষ এ.এস.এম. সায়েম মাহবুব সড়ক (প্রশাসনিকভাবে নামকরন করা হয়েছে) সবই তার অবদান।

তার পরিকল্পনায় ০৩ টি কালভার্ট (০১ টি সম্পন্ন) ০১ টি ক্লিনিক, ০১ টি পৌর সোনালী পার্ক, ০১ টি স্টেডিয়াম,  পৌর বালিকা মাদ্রাসা করার স্বপ্ন ছিলো। বর্তমানে নাঙ্গলকোট রেলওয়ে স্টেশন দৃশ্যমান রয়েছে। তার ডিউ লেটার তৈরি করেছেন অধ্যক্ষ এ.এস.এম. সায়েম মাহবুব। তৎকালীন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর ভূঁইয়া সাহেব বাস্তবায়ন করেন।

এ.এস.এম. সায়েম মাহবুব একজন বিশিষ্ট সাংবাদিক, কবি ও লেখক ছিলেন। তার অসংখ গল্প ও ছোট গল্প, উপন্যাস রয়েছে। তার একটি বিশেষ উপন্যাস ছিল “ফুলপড়া”। এই ক্ষনজন্মা উল্লেখ যোগ্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের কাতারে প্রশাসনিকভাবে সরকার উইকিপিডিয়ায় তার নাম গেজেটে অন্তর্ভুক্ত করেছেন। এই বিশিষ্ট ব্যক্তির জন্য আসুন আমরা সবাই নামাজ পড়ে মহান আল্লাহর দরবারে তার জন্য দোয়া ও রুহের মাগফিরাত কামনা করি এবং তার ছোট-বড়, জানা-অজানা সকল গুনাহ মাফ করে দিয়ে আল্লাহ যেনো তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসীব করেন, আমিন।

গতকাল ২১ মে, সাংবাদিক এ.এস.এম. সায়েম মাহবুব মজুমদারের প্রতিষ্ঠিত নাঙ্গলকোট উপজেলার সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তার রুহের মাগফিরাত কামনায় মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ