মাঈন উদ্দিন দুলাল- নাঙ্গলকোট পৌরসভা নাওগোদা গ্রামের মৃত তিতা মিয়ার ছেলে অটোরিক্সা চালক মনির হোসেনকে (৪৫) শনিবার ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে পার্শ্ববতী চৌগুরী গ্রামের হোসেন আলী ছেলে শরীফ আহম্মেদ এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটায়। এ ঘটনায় শনিবার রাতে নাঙ্গলকোট থানায় নিহত মনিরের বন্ধু শরীফকে আসামী করে মামলা দায়ের করে তার স্ত্রী কুলসুম বেগম। নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ খুনি শরীফকে আটক করে কুমিল্লা কারাগারে প্রেরণ করেছে।
স্থানীয় সূত্র জানায়, নাঙ্গলকোট পৌরসভার নাওগোদা গ্রামের মৃত তিতা মিয়ার ছেলে মনির হোসেন ও চৌগুরী গ্রামের শরীফ এক সাথে দীর্ঘদিন অটোরিকশা চালাতো। খুনি শরীফ মনির হোসেন থেকে একটি অটোরিকশা ভাড়ায় চালাতো, প্রতিদিন মনির হোসেনকে ২৫০ টাকা অটোরিকশা ভাড়া প্রদান করতো। হত্যাকান্ডের দিনও শরীফ মনিরের ভাড়া অটোরিকশা চালিয়েছিল। খুনি শরীফ ও মনির দীর্ঘদিনের বন্ধুত্ব ছিল। স্থানীয়রা জানায় তারা দু’জনই মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল। কিন্তু বিধিরবাম মনিরের প্রতিবন্ধী ভাই মুক্তার হোসেনকে শুক্রবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শরীফ ছুরিকাঘাত করে গুরুত্বর আহত করে। এ ঘটনায় প্রতিবন্ধী মুক্তার হোসেনের মা রোকেয়া বেগম বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় লিখিত অভিযোগ করে।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মনিরের পিতা তিতা মিয়া ২২ বছর পূর্বে মৃত্যুবরণ করেন, তিতা মিয়ার গ্রামের বাড়ি নাঙ্গলকোট উপজেলার মৌকরা ইউনিয়নের মোড়েশ্বর গ্রামে। তিতা মিয়ার মৃত্যুর পর তার স্ত্রী রোকেয়া বেগম তার ৩ ছেলে ১ মেয়ে নিয়ে রোকেয়া বেগমের বাপের বাড়ি পৌরএলাকার নাওগোদা গ্রামে বসতঘর নির্মাণ করে বসবাস করে আসছে। নিহত মনিরের মেহেদী হাসান, তুষার, হৃদয় নামে ৩ ছেলে রয়েছে। ভাইয়ের উপর হামলার কারণে বন্ধুত্বের ফাটল, ভাইকে কেন ছুরিকাঘাত করা হয়েছে এ ব্যাপারে শরীফকে শনিবার বিকেলে নাওগোদা গ্রামের মফিজের দোকানের সামনে মনির জিঞ্জাসাবাদ করলে এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে শরীফ মনিরকে ধারালো অস্ত্রদিয়ে ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। হামলার ঘটনা জানতে পেরে মনিরের ছেলে মেহেদি হাসান ঘটনাস্থলে গিয়ে পিতাকে বাঁচানোর চেষ্টা করলে তাকেও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত করে। আহত মনিরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মনির হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন। মনিরের বাড়িতে চলছে এখনও শোকের মাতম।