মো: মাঈন উদ্দিন দুলাল- নাঙ্গলকোট উপজেলার হোমনাবাদ আদর্শ ডিগ্রী কলেজের সভাপতি পদ নিয়ে উচ্চ আদালতে স্থগিতাদেশ থাকার পরও কর্তৃপক্ষ আরেকটি কমিটির অনুমোদন দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় ও মামলা সূত্রে জানাযায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হোমনা বাদ আদর্শ ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডির এডহক কমিটির সভাপতি হিসেবে অ্যাডভোকেট শাহজাহানকে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এডভোকেট শাহজাহান কলেজের গর্ভনিং বোর্ডের একাধিকবার সভা ডেকে অধ্যক্ষ মীর জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে কলেজের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পান। অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুটি তদন্ত কমিটি গঠিত হয়। দুটি তদন্তেই সভাপতি আনিত অভিযোগ সত্য বলে প্রমাণ পায়।
তদন্ত কমিটি যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া হয়। তারই প্রেক্ষিতে সভাপতি অধ্যক্ষ কে কারণ দর্শানো ও পরে সাময়িক বরখাস্ত করেন। তদন্ত শেষে স্থায়ীভাবে বরখাস্ত করেন। সভাপতি তার স্থলে কলেজের একজন শিক্ষককে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অধ্যক্ষ মির জাহাঙ্গীর ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কে কোন কাগজপত্র বুঝিয়ে না দিয়ে জোরপূর্বক দায়িত্ব পালন করে এবং ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ও কর্মচারীদেরকে হয়রানি করার অভিযোগ ওঠে।
জানা যায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শকের স্বাক্ষরিত ২৪ মার্চের চিঠির আলোকে অ্যাডহক কমিটির মেয়াদ ২৯ জুন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। অপরদিকে মহামান্য হাইকোর্ট ২২/৪/২৫ইং তারিখে তিন মাস স্থগিতাদেশ দেন, যাহা ২১ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়। এরই মাঝে একজন বরখাস্তকিত অধ্যক্ষ মীর জাহাঙ্গীর সভাপতি এডভোকেট শাহজাহান হজব্রত পালনে সৌদি আরব কালে অবৈধভাবে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে রাজউকের কর্মচারী জাফর সাদেককে গত ৭মে স্থায়ী সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন নিয়ে আসেন। গত ৭মের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জাফর সাদেকের মনোনয়ন কৃত কমিটি মহামান্য হাইকোর্ট গত ২৬ জুন স্থগিতাদেশ প্রদান করে এডভোকেট শাহজাহানের কমিটি পূর্ণবহাল করে দেন।
এ ব্যাপারে কলেজ অধ্যক্ষ মীর জাহাঙ্গীরকে ফোন করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। জাফর সাদেক বলেন আমাকে দু’ বছরের জন্য স্থায়ীভাবে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। এডভোকেট শাহজাহান আমাকে বাদ দেওয়ার জন্য উচ্চ আদালতে মামলা করে। এডভোকেট শাহজাহান বলেন মহামান্য হাইকোর্টে কমিটি সংক্রান্ত স্থগিতাদেশ থাকায় এবং মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে মামলা বিচারা ধীন থাকা অবস্থায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যেকোনো কমিটি মনোনয়ন দেয়া সম্পূর্ণ বেআইনি এবং দেশের সর্বোচ্চ আদালতের অবমাননার সামিল ।