শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যেন লক্ষ্য চ্যুত না হয়, এ ব্যাপারে জামায়াত পাহারাধারের ভূমিকা পালন করবে…..এ.টি.এম মাসুম

প্রকাশিত: ৯:০৬ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২০, ২০২৪

শিক্ষার্থীদের আন্দোলন যেন লক্ষ্য চ্যুত না হয়, এ ব্যাপারে জামায়াত পাহারাধারের ভূমিকা পালন করবে…..এ.টি.এম মাসুম

মাঈন উদ্দিন দুলাল- হাসিনার দেড় যুগের শাসন আমলে দেশ অন্ধকারে নিমর্জিত হয়েছে, পুরো বাংলাদেশটা কারাগারে পরিণত হয়েছে। শুধু কিছু আওয়ামীলীগের লোক ছাড়া এদেশে কেউ শান্তিতে বসবাস করতে পারেনি, এটা হয়েছে আমরা এ জুলুমের বিরুদ্ধে ভাল ভাবে অবস্থান নিতে পারিনি, এ জুলুম থেকে দেশকে রক্ষার জন্য আমরা এগিয়ে আসতে পারিনি। আমরা আল্লাহকে ভুলে যাওয়ার কারণে আল্লাহ আমাদেরকে বিভ্রান্ত পথে ধাবিত করেছে। আজকে আমাদেরকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হবে যাতে করে আগামী দিনে বাংলাদেশকে কুরআন সুন্নাহর আলোকে একটি ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্র আমরা গড়ে তুলতে পারি। সে জন্য আন্দোলন করা, সে জন্য সংগ্রাম করা, সে জন্য চেষ্টা করা ও সচেষ্ট হওয়া প্রত্যেকটি মুসলমানের উপর ফরজ বলে আল্লাহ কুরআনে বলেছেন। সৈয়দ মুন্তাসির রহমান আলিফ-সহ শিক্ষার্থীরা বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে শহীদ হয়ে তারা আমাদের জন্য একটি উম্মুক্ত সমাজ করে দিয়েছেন, স্বাধীন সমাজ গড়ে দিয়েছেন, আমাদেরকে পথ চলা শিখিয়ে দিয়েছেন। তাদের রক্তের সাথে কোন অবস্থাতে বেইমানি করলে চলবে না। তাদের রক্তের প্রতিটি ফোঁটা আমাদেরকে কাজে লাগাতে হবে, আমাদেরকে ইসলামের সু-মহান আদর্শের ছায়া তলে ফিরে আসতে হবে। জাতীয়তাবাদ, ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, পুঁজিবাদ, সমাজতন্ত্র, পরিবারতন্ত্র কোনটাই দুনিয়ার মানুষকে শান্তি দিতে পারবে না, শান্তি একমাত্র দিতে পারে মহান রাব্বুল আলামিনের দেয়া একমাত্র বিধান ইসলামী জীবনাদর্শ। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী যে আন্দোলন করছে আমি আপনাদেরকে সেই আন্দোলনের দাওয়াত দিচ্ছি, আসুন সকলে মিলে ঐক্যবদ্ধ ভাবে বাংলাদেশে কোরআন ও সুন্নাহর ভিত্তিতে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক একটি সমাজ কায়েমের জন্য আমরা সকলে আন্দোলন করি। ৫ আগস্ট যে গণবিপ্লব হয়ে ছিলো এ বিপ্লবের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য যে সুযোগ করে দিয়েছে সর্বস্তরের জনতা সেই জন্য ঐক্যবদ্ধ হয়ে সামনে যে গণবিস্ফোরণ আমরা করবো সেই বিস্ফোরণ যেন ইসলামী কল্যাণ রাষ্ট্রের বিস্ফোরণ হয় সেই জন্য আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের যে চেতনা সেই চেতনা থেকে যদি অন্তবর্তীকালীন সরকার বাহিরে চলে যায় আমরা তাদেরকে পরামর্শ দিয়ে আবার ঠিক জায়গায় নিয়ে আসবো। তারা যদি ছাত্রজনতার সেন্টিমেন্ট বুঝতে না পারে তাহলে আমরা রাস্তায় অবস্থান নিবো, তারপরও এ আন্দোলনের লক্ষ্য থেকে যেন এ জাতিচ্যুত না হয় সে ব্যাপারে আমাদেরকে পাহারাধারের ভূমিকা পালন করতে হবে। মঙ্গলবার বিকেলে কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের দেওভান্ডার গ্রামে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর যাত্রাবাড়িতে পুলিশের গুলিতে শহীদ হওয়া সৈয়দ মুন্তাসির রহমান আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারকে আর্থিক অনুদান প্রদান শেষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এ.টি.এম মাসুম এসব কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন শহীদ সৈয়দ মুন্তাসির রহমান আলিফের পিতা সৈয়দ গাজীউর রহমান।
নাঙ্গলকোট উপজেলা জামায়াত সেক্রেটারি মাওলানা নূরুল ইসলাম হাসানের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামী ফেনী অঞ্চল পরিচালক অধ্যাপক লিয়াকত আলী ভূঁইয়া, ইসলামী ছাত্রশিবির সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি ইয়াছিন আরাফাত, নোয়াখালী জেলা আমীর খন্দকার মুহাম্মদ ইসহাক, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আমীর এডভোকেট শাহজাহান, নাঙ্গলকোট উপজেলা আমীর মাওলানা জামাল উদ্দিন, পৌরসভা আমীর মাওলানা মহি উদ্দিন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি মাস্টার আব্দুল করিম, উপজেলা জামায়াত নায়েবে আমীর মাওলানা ইউসুফ আলী, উপজেলা সহকারী সেক্রেটারি মাওলানা ইয়াছিন মজুমদার, পৌরসভা সেক্রেটারি হারুনুর রশিদ, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি ওমর ফারুক মিয়াজী, দৌলখাঁড় ইউনিয়ন জামায়াত আমীর মাওলানা আব্দুল হান্নান, সেক্রেটারি বদরুল আমিন পলাশ প্রমুখ।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ