মাঈন উদ্দিন দুলাল - নাঙ্গলকোটের রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ড সদস্য নুরুল ইসলাম চারিজানিয়া উত্তর পাড়ায় অর্থমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দের অর্থ দিয়ে সম্প্রতি একটি নতুন রাস্তা নির্মাণ করেন। বুধবার সকালে ওই রাস্তাটি ভ্যাকু মেশিন দিয়ে কিছু অংশ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে চারিজানিয়া গ্রামের প্রবাসী মানিকের স্ত্রী নুরুন্নাহার আফরোজার বিরুদ্ধে। এসময় আফরোজার লোকজনের সাথে স্থানীয়দের বাকবিতন্ডা ও পরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে চারিজানিয়া গ্রামের আমির হোসেন (৪৫), ইব্রাহিম খলিল (৪০), সরফুদ্দিন হামিদী (২৪), বাহার উদ্দিন (২৫), হুমায়ুন কবির (৩০) আহত হন। খবর পেয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউপি সদস্য লক্ষীপদুয়া গ্রামের নুরুল ইসলাম তার ওয়ার্ডের চারিজানিয়া গ্রামবাসীর অনুরোধে অর্থমন্ত্রীর বিশেষ বরাদ্দে চারিজানিয়া-বাঙ্গড্ডা পাকা সড়ক থেকে মাঠের উপর দিয়ে চারিজানিয়া তাকিয়া পর্যন্ত একটি কাঁচা সড়ক নির্মাণ করেন। বুধবার সকালে চারিজানিয়া গ্রামের নুরুন্নাহার আফরোজা তার পিতার বাড়ী পাশ্ববর্তী বাংগড্ডা গ্রামের ২০-২৫ জন লোক নিয়ে ভ্যাকু মেশিন দিয়ে ওই রাস্তাটির কিছু অংশ কেটে ফেলে দেয়। এসময় চারিজানিয়া গ্রামের লোকজন বাধা দিলে দু’ পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। সংঘর্ষে ৫জন আহত হয়। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাংগড্ডা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খোরশেদ আলমের নেতৃত্বে বাংগড্ডা গ্রামের মোবারক হোসেন, ইমান আলী, ফজর আলী, আবু তাহের, সাইফুল ইসলাম, সোহাগ, আমীর হোসেন ও সামছুল হক’সহ ২০-২৫ জন সন্ত্রাসী এ হামলা চালায় বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
রায়কোট উত্তর ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম ও চারিজানিয়া গ্রামের ফখরুদ্দীন হামিদী বলেন, খোরশেদ আলম মেম্বারের নেতৃত্বে ২০-২৫জন সন্ত্রাসী এসে ভ্যাকু মেশিন দিয়ে রাস্তাটি কেটে ফেলে। এসময় ওই সন্ত্রাসীরা গ্রামবাসীর উপর হামলা চালায়। পরে আমরা নাঙ্গলকোট থানা পুলিশে খবর দিলে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
অভিযুক্ত নুরুন্নাহার আফরোজা বলেন, আমার জমির উপর দিয়ে পূর্বে কোন রাস্তা ছিলনা। জোর পূর্বক অবৈধ ভাবে রাস্তা নির্মাণ করায় আমি জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসে অভিযোগ দায়ের করে কোন প্রতিকার না পেয়ে ভ্যাকু মেশিন দিয়ে আমার জমির উপর দিয়ে যাওয়া রাস্তার অংশ কেটে ফেলি। এসময় চারিজানিয়া জামেয়াই ছালেহিয়া দাখিল মাদরাসা মসজিদের মাইকে আমাদের উপর হামলা করতে গ্রামবাসীকে ডাকা হয়। পরে ফখরুদ্দীন হামিদীর নেতৃত্বে আমাদের উপর দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তারা। হামলাকারীরা ভ্যাকু মেশিন ভাংচুর ও চালককে পিটিয়ে আহত করে। এসময় ভ্যাকুর চালক ও হেলপারের সাথে তাদের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
বাংগড্ডা ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, নুরুন্নাহার আফরোজা আমার গ্রামের মেয়ে। তার উপর হামলা হয়েছে বলে সে আমাকে ফোন করলে আমি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হই। ওই স্থানে গিয়ে দেখি মাদরাসা মাইকে গ্রামবাসীকে ডাকা হচ্ছে। বড় ধরণের সংঘর্ষের আশংকায় আমি দু’ পক্ষকে শান্ত হতে বলি এবং আফরোজার আত্মীয় স্বজনদের ঘটনাস্থল থেকে চলে যেতে বাধ্য করি। এ ব্যাপারে আমাকে কেন জড়ানো হচ্ছে আমার বোধগম্য নয়।
নাঙ্গলকোট থানা উপ পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন খন্দকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক-শফিকুর রহমান চৌধুরী (এম এ)
বার্তা সম্পাদক- মাঈন উদ্দিন দুলাল
সহ-সম্পাদক- মোহাম্মদ আল আমিন
অফিস : জোড্ডা বাজার,নাঙ্গলকোট,কুমিল্লা।
প্রধান সম্পাদক-০১৬০১৯২০৭১৩
নির্বাহী সম্পাদক-০১৯১১২৫৭৪৯৬
বার্তা সম্পাদক-০১৭১৬০২১১৪৫
ইমেল-nangalkottimes24@gmail.com