ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে প্রবাসীর বাড়ী ঘর নাঙ্গলকোটে সরকারী খালের মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্যের ভাইয়ের বিরুদ্ধে

প্রকাশিত: ৫:৪৬ অপরাহ্ণ, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩

ভেঙ্গে পড়ে যাচ্ছে প্রবাসীর বাড়ী ঘর নাঙ্গলকোটে সরকারী খালের মাটি কেটে নেয়ার অভিযোগ ইউপি সদস্যের ভাইয়ের বিরুদ্ধে

মাঈন উদ্দিন দুলাল- নাঙ্গলকোটের রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়নের ঝাটিয়া পাড়া গ্রামের মজুমদার বাড়ির বাহরাইন প্রবাসী মনোয়ার হোসেন মজুমদারের বাড়ির পাশের সরকারি খালের মাটি কেটে নিয়ে নিজের বাড়ির খালি জায়গা ভরাট করছে রায়কোট দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক সদস্য মাহবুবুল হকের ছোট ভাই শামছুল হক। ফলে ওই প্রবাসীর ২টি বাথরুম, ২টি বিশাল আকার ফলজ গাছ ভেঙ্গে পড়ে যায়। এছাড়াও তার আধা পাকা একটি ঘর যেকোন সময় ভেঙ্গে পড়তে পারে। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও উপসহকারী ভূমি কর্মকর্তা শামছুল হককে সরেজমিনে তদন্ত করে সরকারি খালের মাটি কাটতে নিষেধ করলে তিনি ১মাস মাটি কাটা বন্ধ রেখে শনিবার সকালে পুনঃরায় মাটি কাটা শুরু করে। এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করেন ওই প্রবাসী পরিবার।
প্রবাসী মনোয়ার হোসেন মজুমদারের মা সুরমা বেগম বলেন, আমার ১ ছেলে ও ৫ মেয়ে রেখে বেশ কয়েক বছর পূর্বে আমার স্বামী মৃত্যু বরণ করেন। পরে অনেক কষ্ট করে আমি একমাত্র ছেলেকে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ বাহরাইন পাঠাই। এর পর থেকে আমাদের পরিবারটি পুরুষ মানুষ শূণ্য । গত ৪মাস যাবৎ আমাদের প্রতিবেশী শামছুল হক তার ভাই মাহবুবুল হক মেম্বারের প্রভাব খাটিয়ে আমাদের বাড়ির পাশের সরকারি খালকে অন্তত ১৫ফুট গভীর করে মাটি কেটে নিয়ে যাওয়া শুরু করে। মাটি কাটার কারণে আমাদের ২টি বাথ রুম ও ২টি আম গাছ খালে ভেঙ্গে পড়ে যায়। পরে আমরা উপজেলা ভূমি অফিস ও স্থানীয়দের কাছে নালিশ করলে সে মাটি কাটা বন্ধ করে, কিন্তু সে পুনঃরায় শনিবার সকাল থেকে মাটি কাটা শুরু করেছে। এভাবে অব্যাহত ভাবে মাটি কাটতে থাকলে আমাদের আধা পাকা ঘরটি যে কোন সময় খালে ভেঙ্গে পড়ে যেতে পারে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে শামছুল হককে না পাওয়া গেলোও তার বোন ঝাটিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক কুসুম বেগমকে পাওয়া যায়, তিনি সাংবাদিকদের বলেন আমাদের জায়গার পাশে সরকারি খাল সেটি পরিস্কার করার জন্য মাটি কাটা হচ্ছে।
স্থানীয় সমাজ প্রতি জোবায়ের হোসেন বলেন, সরকারি খাল কেন তারা নিজেরা খনন করছে আমরা জানিনা। এটি প্রশাসনের বিষয়, প্রশাসন খালটি পরিমাপ করে তাদেরকে সীমানা নির্ধারণ করে দিলে উভয় পক্ষের মাঝে শৃংখলা ফিরে আসবে।
উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি আশ্রাফুল হক বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, আমি নির্বাচনী কাজে ব্যস্ত থাকায় আজকে যেতে পারিনি। রবিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে বিষয়টি দেখে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

 

Please follow and like us:

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ