নিজস্ব প্রতিনিধি-  নাঙ্গকোটের বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের এক কিশোরী বিয়ের প্রলোভনে ঘর ছেড়ে প্রেমিক ও তার ৩ বন্ধু কর্তৃক রাত ভর গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। ধর্ষিতা কিশোরীকে শনিবার ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে বাংগড্ডা পূর্ব দক্ষিণ পাড়ার কামাল হোসেনের ছেলে প্রেমিক মোহাম্মদ মামুন (৩৪), তার বন্ধু একই গ্রামের মোহাম্মদ কামালের ছেলে ছনু (২৮) ও তৌফিক (২৫) এবং পাশ্ববর্তী আঙ্গুলখোড় গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে মোহাম্মদ আলমগীরকে (৪২) আসামী করে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের ধর্ষিতা কিশোরীর সঙ্গে বাংগড্ডা গ্রামের পূর্ব দক্ষিণ পাড়ার মোহাম্মদ মামুনের সাথে কয়েক মাস যাবৎ প্রেমের সম্পর্ক চলে আসছে। গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমিক মামুন ফোন করলে ঘর ছাড়ে ওই কিশোরী। পরে প্রেমিক মামুন ওই কিশোরীকে বাংগড্ডা বালিকা মাদরাসার পূর্ব পার্শ্বে অমূল্য মেকারের বাগানে নিয়ে মামুন, ছনু, তৌফিক, আলমগীর পালাক্রমে গণধর্ষণ করে এবং একই রাত পৌনে ২টার দিকে ধর্ষক আলমগীরের রান্না ঘরে নিয়ে পুনঃরায় গণধর্ষণের সময় ধর্ষিতা কিশোরী অজ্ঞান হয়ে যায়। এসময় ওই কিশোরীকে পাশ্ববর্তী বাগানে পেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা। সকালে স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার পরিবারের লোকদের খবর দেয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বলেন, খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছি। মেয়েটির মেডিকেল রিপোর্ট অনুযায়ী যারা দোষী সাব্যস্ত হয় তাদের শাস্তি দাবী করছি। আর যদি উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে কাউকে হয়রানি করা হয় তাহলে তাদেরও যেন সঠিক বিচার হয়।
নাঙ্গলকোট থানা পরিদর্শক (তদন্ত) রকিবুল ইসলাম বলেন, কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসামীদের গ্রেফতারে চেষ্টা অব্যাহত আছে।