বাঙ্গড্ডা নুরপুরে যুবদল কর্মীর নেতৃত্বে দুই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

প্রকাশিত: ৭:০৮ অপরাহ্ণ, জানুয়ারি ১৩, ২০২৫

বাঙ্গড্ডা নুরপুরে যুবদল কর্মীর নেতৃত্বে দুই কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ

নাঙ্গলকোট প্রতিনিধি- নাঙ্গলকোট উপজেলায় রাস্তা থেকে দুই কিশোরীকে তুলে নিয়ে গিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনা কাউকে না জানাতে ধর্ষণের ভিডিও করে তা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ারও হুমকি দেওয়া হয়। রোববার ধর্ষণের ঘটনায় এক যুবদল কর্মীকে প্রধান আসামি করে থানায় মামলা হয়েছে।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে নাঙ্গলকোটে উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের স্থানীয় স’মিলে ভিতরে এ ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগী ওই দুই কিশোরী বাদি হয়ে থানায় একটি অভিযোগ করেন বলে জানিয়েছেন নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একে ফজলুল হক।

অভিযুক্তরা হলেন- উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের যুবদল কর্মী মো. মহসিন। তিনি বাঙ্গড্ডা ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামের রঞ্জু মিয়ার ছেলে। অন্যজন স’মিলের মালিক খোকন মিয়া। বাকিদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেননি ওই দুই কিশোরী।

ভুক্তভোগী দুই নারী জানান, আমাদের ওপর ১০/১২ জন মিলে একটি স’মিলে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেছিল। এরমধ্যে দুজন আমাদের সবচেয়ে বেশি নির্যাতন করেছে। সবার মুখ দেখলেই চিনতে পারবো আমরা। স’মিলের মালিক ছিল, আমাদের প্রথমে খালি রাস্তায় অটোরিকশায় করে নিয়ে বিভিন্ন রাস্তায় ঘুরাঘুরি করে। আমরা বুঝতে পারি তাদের উদ্দেশ্য ভালো না তখন আমাদের সাথে ধস্তাধস্তি হয়। কেউ ছিল না আশেপাশে তখন। পরে আমাদেরকে একটি রুমে নিয়ে যায়।

সেখানে আমাদের ধর্ষণ করে। পরে মারধর করে জোর করে ভিডিও করে। এসময় আমি চিৎকার দিলে, আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এসব কথা শুনে আমার সাথে থাকা মেয়েটিও চুপ হয়ে যায়৷ দুপুর ১২ টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত আমাদের সাথে এসব চলে। স’মিলের মালিক সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। পরে আমাদের তারা রাতেও রাখতে চায়। কিন্তু আমরা হাতে পায়ে ধরে তাদের থেকে ছাড়া পাইছি। আমাদের অটোরিকশা তুলে দিয়ে অটোওয়ালাকে হুমকি দিয়ে বলে সোজা আমাদের চৌদ্দগ্রাম বাজারে নামিয়ে দিতে এরমধ্যে কোথাও যেন না দাঁড়ায়৷ আমাদের সাথে যে অন্যায় করেছে এর বিচার চাই আমরা।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, দুই কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় কেউ মুখ খুলতে চাচ্ছে না। স’মিলের মালিক খোকন মিয়া ঘটনার পরপর পলাতক। এছাড়াও অভিযুক্ত যুবদল নেতা মহসিন এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালিয়েছে।

ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি পদপ্রার্থী কবির হোসেন বলেন, আমাদের এখানে যুবদলের কমিটি নেই। মহসিনসহ আমরা এক সাথে অনেক কর্মসূচিতে গিয়েছি।

নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মনিরুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি শুনেনি, তবে কেউ যদি দলের নাম ব্যবহার এসব অপকর্ম করে, আমরা তার দায়ভার নিবো না, অপরাধীকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হোক।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি একে ফজলুল হক বলেন, দুই কিশোরী থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। আমরা তাদের কাছে ঘটনা জানতে চাচ্ছি। বিস্তারিত পরে বলবো।

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার আমার দেশকে বলেন, ওসিকে ধর্ষণের অভিযোগ নিতে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা মিললে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ