ফাস্ট ফুড খেতে আমরা সকলেই ভালবাসি। ছেলে থেকে শুরু করে বয়স্ক, সকলেই এখন ফাস্ট ফুড প্রেমী। তবে জানেন কি- প্রায় ২ হাজার বছর আগে থেকেই শুরু হয়েছিল এই ফাস্ট ফুডের ব্যবসা। এনডিটিভি’র একটি প্রতিবেদন থেকে এমনটাই মনে করা হচ্ছে। রোমান সভ্যতার মাটি থেকে পাওয়া গেছে এই ফাস্ট ফুডের খবরাখবর। আগ্নেয়গিরির ধ্বংসস্তুপ থেকে উদ্ধার হলেও এই ফাস্ট ফুডের ইতিহাস এখনও স্পষ্ট।
মনে করা হচ্ছে, ৭৯ এডিতে পম্পেই শহর লাভার দ্বারা নষ্ট হয়েছিল। তার প্রধান কারণ হিসেবে ছিল মাউন্ট ভিসুভিয়াস।
এর ফলে মৃত্যু হয়েছিল প্রায় ১৫ হাজার মানুষের। ইতিহাসের সেই খননকাজ এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন গবেষকরা। তবে ফাস্ট ফুডের এই সমাহার দেখে রীতিমত অবাক গবেষকরা। এর অর্থ হিসেবে মনে করা হচ্ছে, সেই সময়ের মানুষ তাদের খাবারের বিষযে রীতিমতো সৌখিন ছিলেন। শূকর, ছাগল, মাছসহ নানা ধরনের প্রাণী থেকে তারা ফাস্ট ফুড তৈরি করতো। তা মজা করে খেতো। তারা ফাস্ট ফুডের সঙ্গে মদ খেতো বলেও মনে করা হচ্ছে।
সেই সময়ের ফাস্ট ফুডের দোকান মালিকরাও যে অনেকটাই লাভের মুখ দেখেছিলেন তাও অনুমান করা হচ্ছে। পম্পেইয়ের আর্কিওলজিকাল পার্কের ডিরেক্টর মাসিমো ওসামার মনে করেন, এই বিষয়গুলি পম্পেইকে অনেকটাই এগিয়ে দিয়েছিল। তবে আগ্নেয়গিরির ফলে সমস্ত কিছুই কালের গর্ভের বিলীন হয়ে গিয়েছিল বলেও জানিয়েছেন ওসামা।
গবেষকরা মনে করেন, নানা ধরনের প্রাণী দিয়ে তৈরি খাবারের মেনুগুলি সেই সময়কার মানুষরা তৃপ্তি সহকারে খেতেন। হাঁসের রোস্ট তাদের দৈনন্দিন আহারের মধ্যে ছিল বলেও মনে করেন তারা। সেই সময় ৪৪টি মুরগির খামার ছিল বলেও প্রমাণ মিলেছে। রোম ইতিহাসকে পম্পেইয়ের ফার্স্ট ফুডের এই ব্যবসা দিয়েছিল একটি নতুন দিগন্ত।
প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক-শফিকুর রহমান চৌধুরী (এম এ)
বার্তা সম্পাদক- মাঈন উদ্দিন দুলাল
সহ-সম্পাদক- মোহাম্মদ আল আমিন
অফিস : জোড্ডা বাজার,নাঙ্গলকোট,কুমিল্লা।
প্রধান সম্পাদক-০১৬০১৯২০৭১৩
নির্বাহী সম্পাদক-০১৯১১২৫৭৪৯৬
বার্তা সম্পাদক-০১৭১৬০২১১৪৫
ইমেল-nangalkottimes24@gmail.com