নাঙ্গলকোটে ২টি খাল ও ১১টি কালভার্ট বন্ধ, জলাবদ্ধতায় ৫গ্রামের ২হাজার একর কৃষি জমি

প্রকাশিত: ২:১৬ অপরাহ্ণ, জুলাই ২১, ২০২৫

নাঙ্গলকোটে ২টি খাল ও ১১টি কালভার্ট বন্ধ, জলাবদ্ধতায় ৫গ্রামের ২হাজার একর কৃষি জমি
কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী  : নাঙ্গলকোটে কৃষি জমিতে  বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করার ফলে ২টি খাল ও ১১টি কালভার্ট বন্ধ হয়ে গিয়েছে। খাল ও কালভার্ট গুলো বন্ধ করে দেয়ায় উপজেলার হেসাখাল খিলপাড়া, চক্রলোদী, নাওগোদা, দৌলতপুর ও শ্রীহাস্য গ্রামের ২হাজার একর কৃষি জমি জলাবদ্ধতার কারণে চাষাবাদ অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।   কৃষি জমিতে পুকুর খনন করে খাল ও কালভার্ট বন্ধ করার বিষয়ে এলাকাবাসী সবছেড়ে বেশি অভিযোগ করেন হেসাখাল ইউনিয়ন পরিষদ সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি জালাল আহমেদ ভূঁইয়ার বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে সোমবার সকালে গাগৈর খালের দায়েমছাতি বাজার সংলগ্ন এলাকায় বিক্ষোভ ও পরে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট  লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

নাঙ্গলকোট উপজেলা যুবদল যুগ্ম আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম মজুমদার, ক্ষতিগ্রস্ত আব্দুল করিম, ইকবাল, মোদাচ্ছের, মনু মিয়া, সৈয়দ আহমেদ, রফিক, এমরান হোসেন অভিযোগ করে বলেন, গত ১০ বছর আমরা আউশ আমন বোরো ধান জলাবদ্বতার কারণে এক মুষ্টি ও ঘরে তুলতে পারিনি। হেসাখাল ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ ভূঁইয়া-সহ  কিছু দুষ্কৃতিকারী ও বিগত স্বৈরাচারের দোসররা রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে সরকারি ২টি খাল ও ১১টি সরকারি কালবার্ট বন্ধ করে দেয়ায় এ জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। বন্ধ করে দেয়া খাল ও কালভার্ট গুলো দিয়ে হেসাখাল খিলপাড়ার পূর্বাংশ, চক্রলোদী পূর্ব ও দক্ষিণাংশ, নাওগোদার উত্তরাংশ, দৌলতপুর পশ্চিমাংশ ও শ্রীহাস্য গ্রামের দক্ষিণাংশের পানি চলাচল করতো। জলাবদ্বতার কারণে কৃষকরা ধান ও সবজি উৎপাদন করতে না পারায় অতি কষ্টে অনাহারে, অর্ধাহারে জীবনযাপন করছে এবং পানিবাহিত রোগ ও পুষ্টিহীনতায় আক্রান্ত হয়ে মারাক্তক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়েছে। বিগত ১০বছর পূর্বে খাল ও কালভার্ট গুলো সচল থাকায় এই জলাবদ্ধতা ছিলো না। আমরা এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা প্রশাসনের  হস্তক্ষেপ কামনা করি।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা ও সাবেক চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমি কি আমার জমি গুলো খালি রেখে দিবো? আমরা আমাদের জমিতে মাছের প্রজেক্ট করেছি, পুকুরের উপর দিয়ে পানি যাওয়ার ব্যবস্থাও রেখেছি, অন্যরা ড্রেন চিকন রাখায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। খালে আমি  বাঁধ দিই নাই, বাঁধ দিয়েছে বর্তমান চেয়ারম্যান ইকবাল বাহারের চাচা। আগে দৌলতপুরের ২টি কালভার্ট দিয়ে পানি যেত, এখন এগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। ফলে পুরো উপজেলার পানি আমার মৎস্য প্রজেক্টের উপর দিয়ে যাচ্ছে, পানির চাপ বেশি হওয়ায় জলবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে।  আমার প্রজেক্টর কারণে একটা কালভার্টও বন্ধ হয়নি, প্রশাসন তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করুক।

এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আল আমিন সরকার বলেন, অভিযোগ পেয়ে আমি সাথে-সাথে বিষয়টি খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এসিল্যান্ডকে বলেছি।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ