নাঙ্গলকোটে মসজিদ-মাদ্রাসার চলাচলের রাস্তা নির্মাণে বাধা, মুসল্লি, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগ

প্রকাশিত: ৩:৪১ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২, ২০২৪

নাঙ্গলকোটে মসজিদ-মাদ্রাসার চলাচলের রাস্তা নির্মাণে বাধা, মুসল্লি, শিক্ষার্থীসহ স্থানীয়দের চরম দুর্ভোগ

কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী : নাঙ্গলকোটের ঢালুয়া ইউনিয়নের বায়েরা বায়তুন নূর জামে মসজিদ, ফোরকানিয়া মাদরাসা ও রহিম উদ্দিন মিয়াজী বাড়িতে যাওয়ার মসজিদের ওয়াকফকৃত জমির উপর দিয়ে চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ওই গ্রামের তনু মিয়া মিয়াজীর ছেলে আবু তাহের মিয়াজীর বাধার মুখে নির্মাণ করতে না পারায় বিগত অর্ধশত বছর যাবৎ মসজিদের মুসল্লি, ফোরকানিয়া মাদরাসার শিক্ষার্থী এবং রহিম উদ্দিন মিয়াজী বাড়িতে বসবাসরত ২০ পরিবারের প্রায় ২৫০জন মানুষকে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। মসজিদ, মক্তব ও এলাকার মানুষের চলাচলের স্বার্থে গত কয়েক বছর পূর্বে অভিযুক্ত আবু তাহের মিয়াজীর বোন রাবেয়া বেগম চলাচলের এ রাস্তাটি-সহ কিছু জমিন বায়েরা বায়তুন নূর জামে মসজিদের নামে ওয়াকফ করে দেন। এরপরও অভিযুক্ত আবু তাহের মিয়াজী ওয়ার্কফকৃত ওই জমিটি নিজের দাবি করে চলাচলের রাস্তাটি নিমার্ণে বাধা দিয়ে আসছে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ভূক্তভোগীরা।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম, বাচ্ছু মিয়া, মোবারক হোসেন মিয়াজী বলেন, বিগত ৫০ বছর যাবৎ এ রাস্তাটি দিয়ে কষ্ট করে আমরা মসজিদ, মক্তব ও বাড়িতে চলাচল করছি। আবু তাহের প্রতিহিংসা বসত আমাদের চলাচলের অর্ধশত বছরের রাস্তাটিতে মাটি ফেলতে দেয় না। অথচ এ জমিটি মসজিদের নামে তার বোন ওয়াকফ করে দিয়েছে। আমরা আমাদের চলাচলের এ দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
অভিযুক্ত আবু তাহের মিয়াজী বলেন, আমার বোন যতটুকু ওয়াকফ দিয়েছে সে ওই খতিয়ানের হিস্যা অনুযায়ী ততটুকু জমিন পায়না। তাছাড়া যারা এখন আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে, তারা আমার চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে। আমার রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে আমাদের জমির উপর দিয়ে তারা কিভাবে রাস্তা আশা করে।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ