স্টাফ রির্পোটার:
দলিল, খতিয়ান,খারিজ,বিএস, ভূমি অফিসের নথিপত্র সহ যাবতীয় সকল কাগজপত্রে কোনরুপ জায়গা-সম্পদ না থাকলেও নিজেদের জায়গা বলে অপ্রপ্রচার চালানো ও বেআইনি ভাবে দখলে নেয়ার অপচেষ্টা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের পদুয়া গ্রামে। জর্জকোর্টে মামলার নথিপত্র অনুযায়ী জানা যায়-গ্রামের স্বনামধন্য পরিবারের কর্তা ছিলেন মরহুম হাজী সফিউল্লাহ মজুমদার। তার ৬ সন্তান ১ মেয়ের মধ্যে ৫ নং ছেলে আবদুস সাত্তার ও ৬নং ছেলে আবদুল জলিল দীর্ঘদিন যাবত ২য় সন্তান সম্মানিত শিক্ষক আবুল হাশেম মজুমদারের জায়গা দখল করে গায়ের জোরে পাকা ওয়াল, বিল্ডিংয়ের বারান্দা নির্মাণ করার পাঁয়তারা করতেছে। ১৯৯০ সাল থেকে এই ঘটনার সূত্রপাত আবুল হাশেম মজুমদার ও আবদুস সাত্তার মজুমদার ২৫৫ দাগে ৫৪ শতক জায়গার মধ্যে ৩৬ শতক ভূমি করে। এ ভরাটকৃত ভূমির উত্তর পাশে ১৮শতক ভূমি আবুল হাশেম মজুমদারের অজান্তে নিজ নামে (আবদুস সাত্তারের) নামে রেজি: করে নেয় তার আম্মা থেকে। বাকি ১৮ শতক পৃথক ভূমি কবলা না করে মাঠের ১৮ শতকসহ এক কবলা করে। অদ্যাবধি পর্যন্ত এটি মীমাংসা হয় নাই। ২০০৬ সালে মারা যান হাজী সফিউল্লাহ মজুমদার। অবশ্য মৃত্যুর আগেই তিনি সবাইকে সমান ভাবে সম্পত্তি বন্টন করে দিয়ে যান। নিজের প্রাপ্য সম্পত্তির মধ্যেই টিনশেড বিল্ডিং ঘর, খালি জায়গায় কিছু গাছ রোপন করে বসবাস করছেন আবুল হাশেম মজুমদার। তিনি নিজেও একজন পরহেজগার মানুষ হিসেবে গ্রামে পরিচিত। অহেতুকভাবে ছোট ২ জন ভাই দীর্ঘদিন যাবত জোরপূর্বক দখল করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যে হয়রানি ও মানসিকভাবে যন্ত্রনা দিয়ে আসছে, তাদের সাথে যুক্ত রয়েছে, জলিল বাবুর স্ত্রী নাছিমা আক্তারও। বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধাণের জন্য আবুল হাশেম আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি সমাজপতিদের সাহায্য কামনা করেছেন। আবুল হাশেম মজুমদার পরিবারের ও নিজের জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে ও নিজ দখলকৃত জায়গায় শান্তিমত বসবাস করার উদ্দেশ্যে গত ২৬/০১/২৩ তারিখে কুমিল্লা বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ২নং আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলার নথি অনুযায়ী, পদুয়া মৌজার বিএস খতিয়ান নং ৭২, জমা খারিজী খতিয়ান ৪১২, হেবা দলিল ৫৭৭১ মতে ৩৯৪ দাগে বাড়ী মধ্যাংশে ২৫ অন্দরে ১৮.৫০ শতক তদান্দরে দক্ষিণ পূর্বাংশে ৬ শতক ভূমি। যাহা নালিশী ভূমি বটে। যাহার উত্তরে ১ম পক্ষ আবুল হাশেম মজুমদার, দক্ষিনে আবদুল জলিল, পূর্বে পুকুর, পশ্চিমে তবারক উল্লাহ,অত্র চৌহদ্দির মধ্যে নালিশী ভূমি। পি আর মামলা নং ৬৯/২৩, বিজ্ঞ আদালতের স্মারক নং ১১৩/এডিএম মামলাটির বেঞ্চ সহকারীর মাধ্যমে নাঙ্গলকোট থানার এস আই কামাল হোসেন ঘটনাস্থল তদন্ত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন ৫ এপ্রিল। সে রির্পোট অনুযায়ী-তিনি তফসিলকৃত জায়গায় শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার উদ্দেশ্যে ফৌ: কা: বি: ১৪৫ ধারা মোতাবেক নোটিশ জারি করেন। এতে (বাদী) ১ম পক্ষ আবুল হাশেম মজুমদার ও তার স্বাক্ষীগণ এবং ২য় পক্ষ আবদুল জলিল বাবু, আবদুস সাত্তার ও নাছিমা আক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। বিরোধীয় জায়গার মালিকানা এবং দখল প্রমাণের স্বপক্ষে দলিল প্রত্রাদি পর্যালোচনা করি। তদন্তে গৃহীত স্বাক্ষ্য প্রমাণে বুঝতে পারি, ১ম পক্ষ ও ২য় পক্ষ পরস্পর ভ্রাতা হয়। সকল দলিল, দস্তাবেজ অনুযায়ী ২/৬/১৬ তারিখে মূলে ৬ শতক বাড়ী ১ম পক্ষ মালিকও দখলকার হয়। ১ম পক্ষ আবুল হাশেম মজুমদারের নামে খারিজ খতিয়ান নং ৪১২ ভূমি অফিস কর্তক লিপি ও প্রচার বিদ্যমান। আর ২য় পক্ষ আবদুস সাত্তার ও আবদুল জলিল বাবু তফসিল বর্ণিত ভূমি পৈত্রিক সূত্রে মালিকানা দাবী করত: জবর দখল করার অপচেষ্টা লিপ্ত রয়েছে। দলিলে চৌহদ্দি চিহিৃত করণ যাহা নালিশী ভূমিতে তাকে তাহা রাজি কিন্তু অপর আবদুল জলিল বাবু, নাছিমা আক্তার ও তার পুত্র সাদ্দাম তাহা মানতে রাজী নহে। এদিকে বিষয়টি বিগত ২০ বছর ধরে ইউপি চেয়ারম্যান হারুন উর রশিদ, আশিকুর রহমান দোলন খান মীমাংসা করার চেষ্টা করেছেন, বর্তমান চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ কোম্পানীও বিষয়টি মীমাংসা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে ইউপি চেয়ারম্যান আবু ইউসুফ কোম্পানী জানান-আমি বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার চেষ্টা করছি। সার্ভেয়ার সহকারী কমিশনার (ভূমি) রুহুল আমিন জানান-আমি ও আদ্রা ইউপি ভূমি কর্মকর্তা মো: শাহজাহানসহ সোমবার গিয়েছি,তদন্ত করেছি। তদন্ত রির্পোট উপজেলা এসিল্যান্ড আশরাফুল স্যারের কাছে জমা দিয়েছি। বাকি কাজ স্যারেরা করবেন।’
প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক-শফিকুর রহমান চৌধুরী (এম এ)
বার্তা সম্পাদক- মাঈন উদ্দিন দুলাল
সহ-সম্পাদক- মোহাম্মদ আল আমিন
অফিস : জোড্ডা বাজার,নাঙ্গলকোট,কুমিল্লা।
প্রধান সম্পাদক-০১৬০১৯২০৭১৩
নির্বাহী সম্পাদক-০১৯১১২৫৭৪৯৬
বার্তা সম্পাদক-০১৭১৬০২১১৪৫
ইমেল-nangalkottimes24@gmail.com