অতিথিরা তাদের বক্তব্যে বলেন- শিক্ষক দিবস একটি মহান দিবস হিসেবে সূচিত হয়। শিক্ষকেরা হলেন শিশুদের শিক্ষাদানে ব্রতী তারা অভিভাবকদের চেয়েও অধিক সম্মানীয়। পিতামাতা আমাদের জন্মদেয় ঠিকই শিক্ষকরা জন্মকে সার্থক করে তোলে। প্রতিবছরের ন্যায় ৫ অক্টোবর আজও বিশ্ব শিক্ষক দিবস যা জনসচেতনতা বৃদ্ধির সাথে সাথে শিক্ষকতা পেশায় অবদানকেও স্মরণ করিয়ে দেয়। ২০২১ সালের শিক্ষক দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে “শিক্ষকই শিক্ষা পুনরুদ্ধারের কেন্দ্রবিন্দু”। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০ বছরেও শিক্ষকদের সেই অধিকার ও মর্যাদা নিশ্চিত করা হয়নি। করোনা মহামারি কারণে শিক্ষার গুণগতমান ও শিক্ষকদের চাহিদা নিশ্চিত করা যায়নি। শিক্ষানীতিতে অনেক ইতিবাচক দিক থাকলেও সরকারি-বেসরকারি শিক্ষাব্যবস্থার চরম বৈষম্যের কারণে জাতীয় শিক্ষানীতি বাস্তবায়নে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি। বিশ্বায়নের এ যুগে বলতে হয়- ‘‘ক্ষুর্ধাত শিক্ষক দিয়ে তৃষ্ণার্ত শিক্ষার্থীর প্রয়োজন মেটানো সম্ভব নয়’’। করোনাকালীন এই সংকটময় মুহূর্তে দাঁড়িয়ে আমাদের প্রত্যাশা- বেসরকারি এমপিওভুক্তি সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মুজিববর্ষে পুরো শিক্ষাব্যবস্থা জাতীয়করণের আওতায় আনা হোক।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন- বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক নাছির উদ্দিন, মাস্টার শাহজাহান, মাস্টার দেলোয়ার হোসেন, মাস্টার সামছুউদ্দিন প্রমুখ।