কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী: নাঙ্গলকোটের আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের কালাচৌ বড়িয়াপাড়া গ্রামে গৃহবধূ ফরিদা আক্তারকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় দুইজনকে আটক করেছে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে ফরিদার ছোট ভাই মনসুর আলম বাদী হয়ে ফরিদার দেবর মোশারফ হোসেন, বাসুর মোস্তফা সহ সাতজনকে আসামি করে নাঙ্গলকোট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে বুধবার ভোরে মামলায় এজহারভুক্ত কালাচৌ বড়িয়াপাড়া গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে নিহত ফরিদার বাসুর মোস্তফা (৪৫) ও একই গ্রামের সেকান্দর আলীর ছেলে আফজালকে (৪০) আটক করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লার কারাগারে প্রেরণ করে। গ্রেফতারের স্বার্থে অন্য আসামীদের নাম প্রকাশ করেনি পুলিশ।
ফরিদার স্বামী সারওয়ার হোসেন বলেন, আমি দুবাই বসবাস করি, মঙ্গলবার স্ত্রীর হত্যার খবর পেয়ে বাড়িতে ছুটে এসেছি। জানতে পেরেছি ফরিদাকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখে আমার ভাইয়েরা, তবে সত্য-মিথ্যা আমার জানা নেই। পুলিশ তদন্ত করে সঠিক অপরাধীকে আইনের আওতায় আনবে বলে বিশ্বাস করি।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ উপ-পরিদর্শক ওবায়দুল হক জানান, মঙ্গলবার সকালে উপজেলা কালাচৌ গ্রামে গৃহবধূ ফরিদা হত্যার ঘটনায় ওইদিন রাতেই ফরিদার ছোট ভাই মনসুর দাবি হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করলে বুধবার ভোররাতে দু’জনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
উল্লেখ্য, কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফরিদা বেগম (২৪) নামে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে পরকীয়ার অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর আত্মহত্যা করেছে বলে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ উঠে শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের কালাচৌ গ্রামের বড়িয়াপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ফরিদা ওই গ্রামের দুবাই প্রবাসী সারোয়ার আলমের স্ত্রী ও জোড্ডা পুর্ব ইউনিয়ন পানকরা গ্রামের হেদায়েত উল্লাহর মেয়ে। ফরিদার ফয়সাল(৭) ও ফাইজা(৩) নামে দুটি সন্তান রয়েছে।