নাঙ্গলকোটে আল আমিন মৎস বীজ উৎপাদন খামারের পুকুরে বিষ দিয়ে বীজের মাছ নিধন

প্রকাশিত: ৩:০৮ অপরাহ্ণ, এপ্রিল ১৪, ২০২৫

নাঙ্গলকোটে আল আমিন মৎস বীজ উৎপাদন খামারের পুকুরে বিষ দিয়ে বীজের মাছ নিধন

নাঙ্গলকোট উপজেলার রায়কোট উত্তর ইউনিয়নের কুকুরিখিল গ্রামে আল আমিন মৎস বীজ উৎপাদন খামারের পুকুরে বিষ দিয়ে বীজের মাছ নিধন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে ওই গ্রামের ফয়েজ আহমেদ মিন্টু,তার ভাতিজা আরিফের বিরুদ্ধে।
সোমবার ভোটে এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়,কুকুরিখিল গ্রামের এছহাক মিয়া মজুমদার দীর্ঘ ৫০ বছর ধরে মাছের খামার দিয়ে পোনামাছ উৎপাদন করে আসছে,রমজান মাসে খামারের পুকুর থেকে মাছ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় ফয়েজ আহাম্মদ মিন্টুকে হাতেনাতে আটক করে খামারের কর্মচারীরা পরে তার স্বজনরা বিচারের আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। এর পর থেকে সে পলাতক থাকে গত ৪ এপ্রিল বাড়ীতে আসলে তাকে আটক করে। গ্রামবাসী শালিস বৈঠক বসে বিষয়টি মিমাংশা করে দেয়।পরে ঐ চোর ফয়েজ আহমেদ মিন্টু বাদী হয়ে খামারের মালিকদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এরই মধ্যে মৃত,ইব্রাহীমের ছেলে ফয়েজ আহমেদ মিন্টু তার ভাতিজা বাবুলের ছেলে আরিফ ও বাবুলের স্ত্রী আমেনা বেগম প্রকাশ্যে হুমকি ধমকি দিতে থাকে কিভাবে তোরা মাছ চাষ করস,সোমবার ভোর ৪ টার দিকে প্রতিদিনের মত এছহাক মিয়া মজুমদার পুকুর গুলো পরিদর্শনে গেলে দেখতে পায় ফয়েজ আহমেদ মিন্টু তার ভাতিজা বাবুলের ছেলে আরিফ পুকুরে কি যেন পেলে তাকে দেখে দৌর দেয়।পরে ফজরের নামাজের পর খামারের কর্মচারীরা একটি পুকুরে বড় বড় কাতল,রুই,বিগ্রেড,গ্রাসকাপ,কৈ,কার্পু,মৃগেল,রুই মাছ ভাসতে দেখে খবর দিলে লোকজন এসে দেখে। এ কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলেন জানান তিনি।

এঘটনায় পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা বাড়ী ছেড়ে পালিয়ে যায় তাই তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
নাঙ্গলকোট থানার উপ-পরিদর্শক রবিউল হোসেন বলেন,খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি অভিযোগ দিলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ