দৌলখাঁড় ইউপির অশ্বদিয়া গ্রামের জমি দখলের চেষ্টা ২৬ মামলায় দিশাহারা প্রতিপক্ষ

প্রকাশিত: ১২:৫৫ অপরাহ্ণ, জুন ১৪, ২০২১

দৌলখাঁড় ইউপির অশ্বদিয়া গ্রামের জমি দখলের চেষ্টা  ২৬ মামলায় দিশাহারা প্রতিপক্ষ

মাঈন উদ্দিন দুলাল-  নাঙ্গলকোটের দৌলখাঁড় ইউনিয়নের অশ্বদিয়া গ্রামের মৃত আমান উদ্দিনের ওয়ারিশদের বিরুদ্ধে হয়রানি মূলক ২৬টি মিথ্যা মামলা, হামলা ও তাদের বাড়ী ঘর ভাংচুর করে এলাকা ছাড়া করে তাদের বাড়ী, পুকুর ও ফসলি জমি দখলের অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের সেকান্দার আলীর ছেলে নুরুন নবী, এয়াকুব, মোস্তফা, লাল মিয়ার ছেলে আবুল হোসেন, আবুল বশর, আবুল কালাম ও তাদের লোকজনের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের ও সমাজপতিদের কাছে অসংখ্যবার অভিযোগ করে কোন সুরাহা হয়নি বলে জানান ভূক্তভোগীরা।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দৌলখাঁড় ইউনিয়নের অশ্বদিয়া গ্রামের মজুমদার বাড়ীর মৃত তিতা গাজীর ছেলে আমান উদ্দিন মজুমদারের ৪৭১৮ নং কবলিয়ত মূলে ও তাহার পুত্র বন্দে আলী এবং রৌশন আলীর ৪১২৭, ৩০৯৬ দলিল মূলে জমির মালিক হয়ে তাহাদের নামে ১১৮-১৪৮ নং সিএস এবং আরএস খতিয়ানে প্রায় সাড়ে ১৬ একর সম্পত্তি রেকর্ড হয়। সিএস খতিয়ানের সময় তিতা গাজীর অপর ছেলে কাজীম উদ্দীন ও তার ছেলে আকুব আলীর নামে পূর্বের কোন মালিকানা না থাকা সত্ত্বেও ৫ একর সম্পত্তি খতিয়ন ভূক্ত করে নেয়। পরে এ ব্যাপারে আমান উদ্দীন, বন্দে আলী ও রৌশন আলীর ওয়ারিশরা আদালতে মামলা করলে ৬৪৮৪ নং মামলার রায়ে কাজীম উদ্দিন, লাল মিয়া ও সেকান্দার আলীর ওয়ারীশগণ উচ্ছেদ হয়ে যায়। বন্দে আলীর নাতী আব্দুস সাত্তারের ৪৫৯৯ নং মামলার রায়ে আদালত আমান উদ্দিন, বন্দে আলী ও রৌশন আলীর ওয়ারিশদের নামে রেকর্ড পরিবর্তনের রায় প্রদান করেন।

রায় না পেয়ে কাজীম উদ্দিনের ওয়ারিশরা আমান উদ্দিন, বন্দে আলী ও রৌশন আলীর ওয়ারিশ আব্দুস সাত্তার, সোলেমান, আব্দুল মান্নান, জয়নাল আবেদীন, শাহপরান’সহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়ে এলাকা ছাড়া করে দেয় এবং এ সুযোগে নিজেদের নামে বিএস খতিয়ান করে। ওই বিএস রেকর্ডের বিরুদ্ধে আমান উদ্দিনের ওয়ারিশরা মামলা করলে সম্প্রতি প্রতিপক্ষ নিজেরা ও সন্ত্রাসী নিয়ে এসে তাদের বাড়ী ঘর ভাংচুর করে। বিএস সংশোধন মামলায় উপজেলা ভূমি অফিস থেকে কর্মকর্তারা সরেজমিনে তদন্ত করতে গেলে কাজীম উদ্দিনের ওয়ারিশদে উশৃংঙ্খল আচরণের কারণে ফিরে আসতে হয় বলেও জানান ভূক্তভোগী আবদুস সাত্তার। সম্পত্তি ফিরে পেতে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তারা।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন বিশ্বাস বলেন, আদালতের নির্দেশে এই পিআর মামলাটির তদন্ত চলমান। উপজেলা ভূমি অফিস থেকে সার্ভেয়ার রুহুল আমিনকে সরেজমিনে তদন্ত করতে পাঠানো হয়। সার্ভেয়ার যাওয়ার পর দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে তদন্ত কাজ শেষে না করেই চলে আসতে হয়েছে।

 

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ