ত্রাণের জন্য হাহা-কার!! বসতঘর ও মৎস্য প্রজেক্টের ব্যাপক ক্ষতি, নাঙ্গলকোটে জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক পরিবার পানিবন্ধী

প্রকাশিত: ৯:০৯ অপরাহ্ণ, আগস্ট ২৭, ২০২৪

ত্রাণের জন্য হাহা-কার!! বসতঘর ও মৎস্য প্রজেক্টের ব্যাপক ক্ষতি, নাঙ্গলকোটে জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ শতাধিক পরিবার পানিবন্ধী

মাঈন উদ্দিন দুলাল-
কুমিল্লার নাঙ্গলকোটের জোড্ডা পূর্ব ইউনিয়নের ধুড়িয়ারা ও ভবানীপুর গ্রামে শতাধিক পরিবার পানিবন্ধী, গত ১সপ্তাহ যাবৎ অনেক পরিবারে জ্বলে নি এখনও আগুণ, প্রবাসী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের শুকনা খাবার দিয়ে অতিবাহিত করছে জীবন। প্রতিটি সড়কে হাঁটুর উপরে পানি।
উপজেলা ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন, গত ২১ আগষ্ট টানা বৃষ্টির কারণে আমার বাবা মরহুম আলহাজ্ব মাওলানা ছাদেকুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত একটি নুরানী ও হেফজখানা মাদ্রাসার আসবাপত্র, আমার বসতঘর, রান্না ঘর, খাবার ঘর, মৎস্য প্রজেক্ট, ঘরে থাকা সকল আসবাপত্র পানিতে ডুবে যায়। আমি নিরুপায় হয়ে আমার ছোট ভাইয়ের ঘরে আশ্রয় নি। আমি প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার সময় হাঁটুর উপরে পানি পার হয়ে ভিজা কাপড়-চোপড় নিয়ে ২ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাতায়াত করতে হয়। যেকোন জরুরী প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের জন্য পানি অতিক্রম করে স্থানীয় বাইয়ারা বাজারে যেতে হয়। গত একসপ্তাহ যাবৎ আমাদের পরিবার ও এলাকার শতাধিক পরিবার পানিবন্ধী। এলাকার প্রবাসী ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ব্যতীত সরকারি ও বাহিরের কোনধরণের ত্রাণ সামগ্রী আমরা পাই নাই। আমার ৪/৫একর জমিতে মৎস্য প্রজেক্টে দেশীয় জাতের রুই, কাতল, কার্ফ মাছসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৪থেকে ৫লক্ষ টাকার মাছ ছিল, প্রতিটি মাছের ওজন ১ থেকে দেড় কেজি। আকষ্মিক বন্যায় আমার সকল মাছ ভেসে গেছে। আমি মানুষ থেকে ঋণ নিয়েছি অনেক টাকা, খাদ্য ব্যবসায়ীদের পাওনা টাকা কিভাবে শোধ করবো। আমাদের এ বিপদে সরকার ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
নাঙ্গলকোট উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা ইসরাত জাহান বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা লিখিত ভাবে আবেদন করলে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে সহযোগিতার বিষয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাব।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ