প্রিন্ট এর তারিখঃ ডিসেম্বর ২২, ২০২৪, ৬:৪৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ৫, ২০২০, ৩:৩০ অপরাহ্ণ
জমিজমা নিয়ে মামলা বগুড়া সদরের গোকুলে পাকা ধান কাঁটতে পারছেনা অসহায় এক বর্গাচাষী কৃষক!
এম.এ রাশেদ, বগুড়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বগুড়া সদরের গোকুল দক্ষিনপাড়া গ্রামে অবস্থিত ৩ বিঘা কৃষি জমি প্রায় ১৫ বছর ধরে এক নাগাড়ে বর্গা নিয়ে চাষ করে আসছিলেন বগুড়া সদরের গোকুল সরদার পাড়া গ্রামের মৃত দিলবর প্রাং এর পুত্র পাশা মিয়া। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো বুকভরা আশা নিয়ে ঐ জমিতে আমন ধান লাগিয়েছিলেন তিনি। ধান যখন পরিপক্ক হয়ে কাঁটার উপযোগী, তখন বর্গাচাষী জমির ধান কাটতে গেলে প্রতিপক্ষের দ্বারা বাধা প্রাপ্ত হন। যে কারনে যথা সময়ে জমির ধান কাঁটতে না পারায় ধানগুলো নষ্ট হবার পথে। সময় যত পার হচ্ছে বর্গাচাষী পাশা মিয়ার হৃদয়ে যেন রক্তক্ষরন হচ্ছে।
তিনি হতাশার কন্ঠে সাংবাদিকদের বলেন,
অনেক কষ্ট করে জমিতে ফসল ফোলাতে পারলেও তা ঘরে তুলতে পারছেন না। তিনি দুঃখ করে বলেন, আমিতো কোন দোষ করিনি, তাহলে আমার ক্ষতি করা হচ্ছে কেন? এ বিষয়ে তিনি কোথাও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না বলে অভিযোগ করেন।
এদিকে জমির উক্ত জমির একাংশের মালিকানা দাবীদার একই এলাকার ডাঃ মৃত মুনছুর উদ্দিনের ছোট পুত্র মোঃ মতিউর রহমান অসহায় বর্গাচাষীর ঘটনার বিষয়টি স্বীকার করেন এবং তার বড় ভাইয়ের দিকে অভিযোগের আঙ্গুল তুলে জানান, তার আপন বড় ভাই আলহাজ্ব মোঃ মোকাররম হোসেনের প্ররোচনায় বোনদের দ্বারা আদালতে একটি মামলা দায়েরের প্রেক্ষিতে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, জমিজমা নিয়ে আমাদের পারিবারিক দ্বন্দ্বের সাথে বর্গাচাষী পাশা মিয়ার তো কোন সম্পৃক্ততা নেই। তাকে অযথা হয়রানী ও তার ক্ষতি সাধনের উদ্দেশ্যে এসব করা হচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। এদিকে গরীব বর্গাচাষী কৃষক পাশা মিয়ার রোপনকৃত পাকা ধানগুলো যাতে ঘরে তুলতে পারেন, সেজন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন স্থানীয় সচেতন মহল।
প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক-শফিকুর রহমান চৌধুরী (এম এ)
বার্তা সম্পাদক- মাঈন উদ্দিন দুলাল
সহ-সম্পাদক- মোহাম্মদ আল আমিন
অফিস : জোড্ডা বাজার,নাঙ্গলকোট,কুমিল্লা।
প্রধান সম্পাদক-০১৬০১৯২০৭১৩
নির্বাহী সম্পাদক-০১৯১১২৫৭৪৯৬
বার্তা সম্পাদক-০১৭১৬০২১১৪৫
ইমেল-nangalkottimes24@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৪-২০২৩।