আজিম উল্যাহ হানিফ-
জনপ্রিয় লেখক-সাংবাদিক ও সম্পাদক এএফএম শোয়ায়েব ১৯৭২ সালের ১ লা ফেব্রুয়ারি স্বাধীন বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার নাঙ্গলকোট উপজেলাধীন আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের চাটিতলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পুরো নাম আবু ফারাহ মোহাম্মদ শোয়ায়েব। পিতা-বজলুর রহমান ছিলেন মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল থানাধীন সাতগাও দাখিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা। তিনি ১৯৯৮ সালে বন্যার বছর মৃত্যু বরণ করেন। মাতা শামসুন নাহার বেগম এখনো আছেন। এক ভাই এক বোনের মধ্যে তিনি বড়। দাখিলও আলিম পাশ করেছেন নাথেরপেটুয়া আলিম মাদ্রাসা থেকে। ফাজিল ও কামিল পাশ করেছেন গাজীমুড়া কামিল মাদ্রাসা থেকে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে (জেনারেল লাইনে) ডিগ্রি পাশ করেছেন নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ থেকে। মাস্টার্স করেছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে। বিপিএড করেছেন জাতীয় বিশ^বিদ্যালয়ের অধীনে উত্তরা ফ্রিজিক্যাল এডুকেশন কলেজ থেকে। ছাত্ররাজনীতিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। নিজ এলাকা বৃহত্তর আদ্রা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ছিলেন। নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রদলের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ওই কমিটিতে সভাপতি ছিলেন ফরিদ আহমেদ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক ছিলেন (সাবেক পৌরমেয়র একেএম মনিরুজ্জামান খানের ভাই) আসাদ্জ্জুামান খান। ক্যান্ডিটেট ছিলেন নবাব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ ছাত্রসংসদের একটি গুরুত্ব পদে নিবার্চন করার। কিন্তু নিবার্চনের আগের দিন স্থগিত হওয়ায় আর নির্বাচন করা হয়নি।
১৯৯৪ সালে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। এই সময়ে এলাকার এমপি হিসেবে একেএম কামরুজ্জামান খান দলের কর্মী হিসেবে এএফএম শোয়ায়েবের চাটিতলার বাড়িতে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করে আসেন। ১৯৯৮ সালে জয়নাল আবেদীন ভূইয়ার হাত ধরে আওয়ামীলীগে যোগদান করেন দক্ষিণ শাকতলী হাইস্কুল মাঠে দলের জনসভায়। সেদিন ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে বীরমুক্তিযোদ্ধা আবদুল খালেকও আওয়ামীলীগে যোগদান করেছিল। ১৯৮৯ সালে ফাজিলে পড়াকালীন সময়েই চাটিতলা উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন। চারদলীয় জোট সরকারের আমলে ভোলাইন বাজার স্কুল এন্ড কলেজের কলেজ শাখা প্রতিষ্ঠা করতেও তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। তিনি চাটিতলা আদর্শ কিন্ডারগার্টেন স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। বর্তমানে তিনি উপজেলা আওয়ামীলীগ নেতা হিসেবে কাজ করছেন ও আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহসভাপতি হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন। ২০০০ সালের পর থেকেই পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত হন। এক ধরণের নেশা হিসেবে বেচে নেন সংবাদপত্রে কাজ করার। দেশের জাতীয় পত্রিকা জাতীয় বানীতে কাজ করতেন। লিখতেন ইনকিলাব, ইত্তেফাকে। ২০০৭ সালের ২৬ মার্চ সাপ্তাহিক সময়ের দর্পণ পত্রিকা সম্পাদনা শুরু করেন। নিবার্হী সম্পাদক হিসেবে পত্রিকাটিতে রয়েছেন কলামিষ্ট ও লেখক ফারুক আল শারাহ। ১৯৯৮-২০০১ সালের মধ্যে এএফএম শোয়ায়েবের বাড়িতে এমপি হিসেবে জয়নাল আবেদীন ভূইয়া গিয়েছিলেন। ছিলেন ২দিন ১ রাত।
এএফএম শোয়ায়েব দায়িত্ব পালন করছেন নাঙ্গলকোট প্রেসক্লাবের টানা ২ সেশন ধরে সভাপতি হিসেবে। সাবেক সভাপতি ছিলেন শতদল সংঘের। সভাপতি ছিলেন টানা তিনবার বৃহত্তর লাকসাম কিন্ডারগার্টেন এসোসিয়েশনের। উপদেষ্টা হিসেবে রয়েছেন সময়ের দর্পণ পাঠকমেলার। বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থা নাঙ্গলকোট উপজেলা শাখার সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।এছাড়াও তিনি লাকসাম লেখক সংঘের সদস্য, নাঙ্গলকোট রাইটার্স এসোসিয়েশনের সদস্য, জাতীয় কবিতা মঞ্চ সদস্য, নাঙ্গলকোট সাংবাদিক সমিতির উপদেষ্টা, একটু হাসি স্কুলের সহকারী পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে অসুস্থজনিত কারণে বাড়িতে রেস্টে আছেন ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালের ডা. বেলায়েত হোসেনের অধীনে। তবে স্বপরিবারে হজ¦ পালন করার নিয়ত করেছেন। তিনি ইতিমধ্যে ভারত, চীন, হংকং, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ভ্রমণ করে এসেছেন। জীবনে বন্ধু হিসেবে পেয়েছেন, এএসএম সায়েম মাহবুব মজুমদার, এবিএম সোলায়মান মজুমদার (সোলায়মান বিএসসি), নাছিমুর রহমান খান, সাংবাদিক এম এস দোহা, মাহবুব কবির, দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন সম্পাদক নঈম নিজাম, আলম কিরণ, আমিনুল হক মাওলা, আফজলের রহমান, মাস্টার মোহাম্মদ সোহরাব হোসেন, ডক্টর দেলোয়ার হোসেন, মেয়র আবদুল মালেক, মেয়র আবুল খায়ের,এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, শামছুল করিম দুলাল প্রমুখ।
অনবরত লিখে চলেছেন পত্রপত্রিকাও অনলাইনে।
এমন মহৎ মানুষটির দীর্ঘায়ু কামনা করছি।
লেখক: আজিম উল্যাহ হানিফ, কবিও কলামিষ্ট।
প্রধান সম্পাদক- খোরশেদ আলম চৌধুরী
নির্বাহী সম্পাদক-শফিকুর রহমান চৌধুরী (এম এ)
বার্তা সম্পাদক- মাঈন উদ্দিন দুলাল
সহ-সম্পাদক- মোহাম্মদ আল আমিন
অফিস : জোড্ডা বাজার,নাঙ্গলকোট,কুমিল্লা।
প্রধান সম্পাদক-০১৬০১৯২০৭১৩
নির্বাহী সম্পাদক-০১৯১১২৫৭৪৯৬
বার্তা সম্পাদক-০১৭১৬০২১১৪৫
ইমেল-nangalkottimes24@gmail.com