শ্রী হীন নাঙ্গলকোটের গোত্রশাল দিঘি

প্রকাশিত: ৮:২৮ পূর্বাহ্ণ, মে ২৫, ২০২১

শ্রী হীন নাঙ্গলকোটের গোত্রশাল দিঘি

সায়েম মাহবুব মজুমদার :

নাঙ্গলকোট পৌর সদরের প্রাণ কেন্দ্রে প্রায় ৮ একর জায়গা জুড়ে স্থান দখল করে আছে অপরুপ সৌন্দর্যের গোত্রশাল দিঘি।শতাব্দীকাল পূর্বে জনৈক সমাজ হিতোষী এলাকার পানীয় জলের সুব্যবস্থায় দিঘিটি খনন করে স্থানীয় জনগনের চাহিদা পূরন করেন।

ইতোমধ্যে বৃটিশরা ঢাকা চট্গ্রাম রেলপথ চালু করনের সময় দিঘিটি আংশিক ক্ষতিগ্রস্থ তথা দ্বি খন্ডিত হয়ে পড়ে॥ পশ্চিমাংশ ব্যাক্তি মালিকানায চলে গেলেও পূর্বাংশ সরকারি খাস খতিয়ানের তালিকা ভুক্ত। এ নিয়ে চলছে গত ৫০ বছর ধরে মালিকানা গ্রহনের নানা পাঁয়তারা কিন্তু কেউ সফল হয়নি॥ ব্যার্থ র্দুবৃত্ত দখলদার সুবিধাভোগি চক্র একেবারে দমেনি। তারা এরই মধ্যে নানা কৌশল খাটিয়ে জাতীয় স্বার্থ উপেক্ষা করে ঢাকা –চট্টগ্রাম রেল সড়ককে হুমকীর মুখে ফেলে বালি উত্তোলন করে ব্যবসায়িক ফায়দা লুটতে থাকে।গনমাধ্যমে বিষয়টি ব্যাপক ভাবে উঠে আসলে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে তা রহিত হয়।

যুগযুগ ধরে দিঘিটি অনাবাদি ভাবে পড়ে থাকায় জনগন দীর্ঘকাল ধরে স্থানিয় জনগন এর কোন সুবিধা ও সৌন্দর্য রুপ উপভোগ করতে পারছেনা। বিশাল খোলা পূর্ব পাড়টি গোরস্থান হিসেবে ব্যাবহার হয়ে আসছে। উত্তর ও দক্ষিন পাড়ে বসতি গড়ে উঠলেও পশ্চিম পাড়ে রেল সড়ক ও বিনোদন প্রত্যাশী পাবলিক যাতায়াত কাজে ব্যবহ্রত হয়ে আসছে।এ দিঘিকে কেন্দ্র করে উন্নয়ন ও সৌন্দর্য বর্ধনের দাবি বরাবরই স্থানিয় জনগনের । কিন্তু হীনমন্য কিছু উন্নয়ন বিরোধীর কারনে শুরু করা যাচ্ছিলনা

পৌর মেয়র আব্দুল মালেকরে প্রথম মেয়াদে গো ত্রশাল দিঘির হারানো ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনতে পাবলিক প্রইভেট র্পাটনারশিপের (পিপিপি)এর অওতায় একটি নির্ম্মাতা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির প্রক্রিযা শুরুর কথা থাকলেও পারা যায়নি বলে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। বর্তমানে ১০ তলা বিশিষ্ট সিটি সেন্টার ও গোত্রশাল দিঘীকে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। দিঘীর সংস্কার কাজ শেষ করে ব্যাবসায়িক কেন্দ্রের পাশাপাশি বিনোাদন কেন্দ্র হিসেবেও নগর বাসির কাছে গুরুত্ব পাবে।

দৃষ্টিনন্দন বিনোদন কেন্দ্র এবং সিটি সেন্টার স্থাপনে পৌরসভার উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে সেন্টার ফর সোসাল সার্ভিসেস সহ বেশ কিছু নাগরিকও সংগঠন॥

নাঙ্গলকোট বাসির বিনেদনের কোন কেন্দ্র না থাকায এটিই এখন এক মাত্র ভরসা। দিঘির চার পাশে ওর্য়াকওেয়ে নির্ম্মান করে বসার জায়গা করে দিলে পরিবার নিয়ে মানুষ সেখানে বসার সুযোগ পাবে। উপভোগ করবে স্বচ্চ পানির জলাধার।

রাতে আলোকায়নের ব্যাবস্থায় ফোয়ারার সৌন্দর্যের রুপ ভোগে আসবে বিনোদন প্রত্যাশীরা। শিগ্গিরই এ কাজ সমূহ শেষ হলে বদলে যাবে গোত্রশাল এলাকার চিত্র্ এখানে শুধু মার্কেট কেনা কাটা করতে নয় পরিবার নিয়ে ঘুরতে পারবে এমন ব্যাবস্থাই থাকছে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ