নাঙ্গলকোটে মিথ্যে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

প্রকাশিত: ১০:৫৩ পূর্বাহ্ণ, মার্চ ২৯, ২০২৩

নাঙ্গলকোটে মিথ্যে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন

ষ্টাফ রিপোর্টার-  নাঙ্গলকোট উপজেলার বাঙ্গড্ডা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের গত ২৩ মার্চ মিথ্যা, বানোয়াট,ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সৌদি প্রবাসী হারনুর রশিদ তার নিজ বাসভবনে বুধবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করেন।

 

সংবাদ সম্মেলন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হারুহুর রশিদ বলেন; আমি একজন প্রবাসী ও একজন সুনামধন্য পরিবারের সন্তান, আমরা ৬ ভাই ১ বোন, আমরা ৬ ভাই”ই প্রবাসে থাকি, বর্তমান চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলামের সাথে আমরা পরিচয় হয়, এক সাথে চলাফেরা করতাম, সে ক্ষেত্রে আমার থেকে টাকা আদান-প্রদান করতেন আমার ব্যবসায়ী ক্ষেত্রে, সে হিসেবে আমি তার কাছে ৫৯ লক্ষ টাকা পাওনা হই, এবং সে টাকা চাওয়ার বিভিন্ন সময় হুমকি-ধমকি ও মামলা দিয়ে হয়রানি করে আসছে এবং আমার নামে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলন করেন, আমি তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।

 

বর্তমানে সেই একজন তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবাসায়ী, সে আমার সাথে সম্পর্ক হওয়ার পর সে আমাকে এমন কোন মাদক দ্রব্য নেই যে আমাকে সেবন করাই নাই। সাইফুল আমাকে তার বেডরুমে নিয়ে প্রায় দুই বছর বিভিন্ন ধরনের মাদক সেবন করাতেন,সে একজন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারী।

কিছুদিন আগে তার চাচা ভাই আবু সাঈদ ৪৫০পিচ ইয়াবা ও ৭বোতল পোটকা নিয়ে গ্রেফতার হয়,বর্তমানে সে কারাগারে রয়েছে এবং এর কিছুদিন আগে তার ভাগিনা অনিক ও গান্দাচি গ্রামের দুইজন সহ মাদক নিয়ে গ্রেফতার হয়ে বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছেন।

 

তার জেঠা শশুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ সাবেক সভাপতি আব্দুর রশিদ মজুমদারের ছেলে ফাহাদ সৌদি আরব জেদ্দায় ২০ হাজার পিচ ইয়াবা নিয়ে ধরা পড়েন,বর্তমানে সৌদি জেলহাজতে রয়েছেন, এই ইয়াবা দেশ থেকে কে প্রাচার করেছেন আপনারা তা খতিয়ে দেখবেন।

এই মাদক সম্রাট সাইফুল ইসলামের কারণে আমি ও বিভিন্ন মাদক দ্রব্য সেবন করা শুরু করি, পরে নাঙ্গলকোট উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শামছুউদ্দিন কালু ভাই ওমরা হজ্বে গেলে আমাকে তিনি পবিত্র কাবাঘরের সামনে শপথ করান আমি যেন কোন মাদক দ্রব্য সেবন না করি। আলহামদুলিল্লাহ্ আমি আজ ৪-৫ বছর ভালো হয়ে গিয়েছি, আমি আগেও কোন দিন ধূমপান ও করতাম না, বর্তামান এ-ই সাইফুল চেয়ারম্যানের সাথে থেকে আমি ও অনেক খারাপ পথে চলেছিলাম,আল্লাহ আমাকে মাফ করুক।

 

এ তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলাম ২ বছর সংসার করা অন্যের বিবাহিত স্ত্রী কে ৩০ভরি স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা নিয়ে চুরি করে বিয়ে করেন এখন আপনারই বলুন সে কতটুকু সত্যবাদি,তার বাবা সাবেক মেম্বার থাকা অবস্থায় তার চাচা ও ফুফুদের সকল সম্পত্তি নিজের নামে আত্মসাৎ করে নেয়,যার প্রমান তার বাড়ির পূর্ব পাশের পুকুরটি পদুয়া গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মিঠুদের চাইলে আপনারা মিঠুর সাথে যোগাযোগ করে জানতে পারেন।

 

হারুনুর রশিদ আরো বলেন;আমি বাংলাদেশের একজন সাধারণ নাগরিক ও প্রবাসী রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে সন্ত্রাসী সাইফুল ইসলাম থেকে আমার পরিশ্রমের ন্যায্য পাওনা টাকা আদায় ও আমার জান মালের নিরাপত্তা সহ এ-ই তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে অনুরোধে জানাচ্ছি, অবিলম্বে তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য, অন্যথায় সে এলাকায় ও পুরো উপজেলায় মাদকের রাজ্য গড়ে তুলবে।

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ