নাঙ্গলকোটের বিভিন্ন মাজারে গানবাজনা, জুয়া ও শিরক বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি

প্রকাশিত: ১:১২ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ২৩, ২০২৪

নাঙ্গলকোটের বিভিন্ন মাজারে গানবাজনা, জুয়া ও শিরক বন্ধের দাবিতে স্মারকলিপি

কেফায়েত উল্লাহ মিয়াজী : নাঙ্গলকোটের হিয়াজোড়া গ্রামের গনি শাহ গোলাম মঈন উদ্দিন টিপু, ছোট ফতেপুর গ্রামের পেটেনশাহ, দৌলখাঁড় গ্রামের বদনাশাহ মাজার-সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অন-ইসলামিক কার্যক্রম, গানবাজনা, জুয়া ও শিরক কার্যক্রমের বিরুদ্ধে নাঙ্গলকোট উপজেলা ওলামা মাশায়েখ ও সর্বস্তরের তৌহিদী জনতার পক্ষ থেকে সোমবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকী, থানা অফিসার ইনচার্জ এ.কে ফজলুল হক’সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেন। স্মারক লিপি প্রদান কালে উপস্থিত ছিলেন, সিংগুরিয়া মাদরাসা মোহতামিম মাওলানা এয়াকুব, তিলিপ দরবারের পীর মাওলানা শাহ সূফী রুহুল আমিন, জাতীয় ইমাম সমিতি নাঙ্গলকোট উপজেলা সভাপতি মুফতি ওলি উল্লাহ, নাওগোদা মাদরাসা মোহতামিম মাওলানা মীর সোলাইমান, মৌকারা মাদরাসা সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আ.জ.ম সাইফুল্লাহ, নাঙ্গলকোট সরকারি কলেজ মসজিদ খতিব মাওলানা আব্দুল কাদের জসিম, শিহর মাদরাসা মোহতামিম মাওলানা নুরুল আমিন, বাম মোবারকপুর মাদরাসা মোহতামিম মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, নারানদিয়া মাদরাসা মোহতামিম মাওলানা মামুনুর রশিদ, নাঙ্গলকোটা বাজার বড় মসজিদ ইমাম মাওলানা আলমগীর, নাঙ্গলকোট ক্যাডেট মাদরাসা পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বেনিফিটস ফর উম্মাহ ফাউন্ডেশন পরিচালক মুফতি সাজ্জাদ হোসাইন রাহাত প্রমূখ।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, হিয়াজোড়া গ্রামের গনি শাহ গোলাম মঈন উদ্দিন টিপু, ফতেপুর গ্রামের পেটেনশাহ, দৌলখাঁড় গ্রামের বদনাশাহ মাজার-সহ উপজেলার বিভিন্ন মাজারের তথাকথিত পীরদের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সময়ে অন-ইসলামিক কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। যেমন ওই পীরগণ দাবি করেন “মুর্শিদ খোদা, মুর্শিদই রাসুল, সকল ভরসা মুর্শিদের উপর, বাবা-ই বাঁচাবে কেয়ামতে তরাবে, নামাজের কথা কুরআনে নাই এটি মোল্লাদের তৈরি, জানাজার নামাজের কোনো ভিত্তি নেই, মরণকালে কালিমা-কালামের কোনো ভিত্তি নেই, রহমত পেতে হলে বাবার দরবারে যেতে হবে, মুর্শিদের দরবারই ভক্তের কাবাঘর, ভক্তদের হজ এখানেই, গান বাজনা করা যায়েজ, মুর্শিদের গোলামী ছাড়া আল্লাহ পাওয়া সম্ভব নয়, ভান্ডারির পুজা করি আল্লাহকে চিনি না, নামাজ পড়লে আল্লাহ পাওয়া যায় না, আমার জান গাউসে বাগদাদ নিবে আজরাইল আসবে না, মুয়াবিয়া-কে সাহাবী মানলে, আবু জাহেলকে সাহাবি মানতে হবে, মুর্শিদের চরণে সেজদা দিলে বড় হজের সওয়াব হয়, নামাজে কুরআনের আয়াত পড়া খ্রিস্টানদের কাজ, যতকিঞ্চিত গাজা খাওয়া জায়েজ। এসকল অন-ইসলামিক কথাবার্তা ও কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আলেম ওলামাগণ।
এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, আলেম ওলামারা আমার নিকট স্মারকলিপি দিয়েছে, আমি বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবো। নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী প্রদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ