তুলে নিয়ে বিয়ে, দু’বছর পর পিটিয়ে হত্যা

প্রকাশিত: ৬:১৩ অপরাহ্ণ, অক্টোবর ২৪, ২০২১

তুলে নিয়ে বিয়ে, দু’বছর পর পিটিয়ে হত্যা

মাঈন উদ্দিন দুলাল-  উপজেলার হেসাখাল ইউনিয়নের উরুকচাউল গ্রামে শারমিন আক্তার (১৯) নামে এক গৃহবধূ হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুরে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। নিহত শারমিন ওই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলামের স্ত্রী ও একই গ্রামের মৃত আবুল খায়েরের মেয়ে। এ ঘটনায় নিহতের শ^াশুড়ী কমলা বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ময়না তদন্তের জন্য নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় ও নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানাযায় উপজেলার উরুকচাউল গ্রামের আবুল খায়েরের মেয়ে শারমিন আক্তারকে দু’বছর পূর্বে একই গ্রামের কামাল হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলাম অপহরণ করে নিয়ে বিয়ে করে চট্টগ্রামে আতœগোপন করে।

পরে গ্রামবাসীর চাপের মুখে বিষয়টি স্বীকার করে বাড়িতে নিয়ে আসে শারমিনকে। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে কামরুল ইসলাম মাদকে জড়িয়ে পড়লে পারিবারিক কলহ শুরু হয়। এর জের ধরে কয়েক দফা শারমিনকে শারীরিক নির্যাতন করে স্বামী কামরুল ইসলাম ও তার পরিবারের লোকজন। এ নিয়ে দু’পরিবারের মাঝে একাধিক বার সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করলেও থামেনি শারমিনের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার রাতে ও রবিবার সকালে স্বামী কামরুল ইসলাম শারমিনকে বেধড়ক মারপিট করে ঘরে বন্দি করে রাখে।

শারমিনের কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে নিহতের শ^শুর বাড়ির লোকজন শারমিনের রুমে গিয়ে তাকে অচেতন অবস্থায় দেখতে পায়। পরে শারমিনকে নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। মৃত্যু নিশ্চিত হলে কামরুল ইসলাম নিহতের লাশ বাড়িতে নিয়ে তড়িঘড়ি দাফনের চেষ্টা করলে শারমিনের পিতা-মাতা নাঙ্গলকোট থানা পুলিশকে খবর দেয়। হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও শাস্তির দাবী করেন নিহতের মা ছেনোয়ারা বেগম।

নাঙ্গলকোট থানার ওসি (তদন্ত) রকিবুল ইসলাম বলেন- লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হবে। ময়না তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

 

 

Please follow and like us:

এ সংক্রান্ত আরও সংবাদ

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ