কুমিল্লার আইনজীবীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী, ওসি নজরুল, ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৮৫জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ২:৫৬ অপরাহ্ণ, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৪

কুমিল্লার আইনজীবীকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সাবেক অর্থমন্ত্রী, ওসি নজরুল, ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৮৫জনের বিরুদ্ধে মামলা

মাঈন উদ্দিন দুলাল-
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট সাবেক অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল, নাঙ্গলকোট থানার সাবেক ওসি নজরুল ইসলাম, পেরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ, আ’লীগ নেতা শাহজাহান বাবলু, উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার মহিন উদ্দিন মিয়াজী, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রুবেল, পেরিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ আহবায়ক নজরুল ইসলাম, পেরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু ইসহাকসহ ৮৫জনের বিরুদ্ধে হত্যা চেষ্টার অভিযোগে আদালতে মামলা দায়ের করেছেন এক আইনজীবী। বৃহস্পতিবার চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নম্বর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন ওই আইনজীবী। মামলাটি দায়ের করেন সলিসিটর এ্যাডভোকেট একরামুল হক মজুমদার।
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার পেরিয়া ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামের খিদর আলী মজুমদারের ছেলে সলিসিটর এ্যাডভোকেট একরামুল হক মজুমদার। বিষয়টি নিজেই নিশ্চিত করেছেন। পরে মামলাটি আমলে নিয়ে নাঙ্গলকোট থানা পুলিশকে তদন্তের দায়িত্ব দেন চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৫ নম্বর আমলী আদালতের বিচারক আবু বকর সিদ্দিক।
মামলার আসামিরা হলেন, কুমিল্লা সংসদ সদস্য ও সাবেক অর্থমন্ত্রী আ.হ.ম মুস্তফা কামাল, নাঙ্গলকোট থানার সাবেক ওসি নজরুল ইসলাম, পেরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল হামিদ, আ’লীগ নেতা শাহজাহান বাবলু, উপজেলা যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার মহিন উদ্দিন মিয়াজী, উপজেলা আ’লীগ মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান, আ’লীগ নেতা মোস্তাক, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফুল ইসলাম রুবেল, পেরিয়া ইউনিয়ন যুবলীগ আহবায়ক নজরুল ইসলাম, যুগ্ম আহবায়ক মানিক, পেরিয়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আবু ইসহাক, ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল হান্নান, শাহপরান, ইমরান, ফরহাদ, নোমান, সাইফুল, তুহিন সহ নামীয় ৩৫, অজ্ঞাত আরও ৫০ জন।
মামলার বাদী আইনজীবী এ্যাডভোকেট একরামুল হক মজুমদার বলেন, ২০১৮ সালের ৩ ডিসেম্বর নাঙ্গলকোটের শ্রীফলিয়া বাজার এলাকায় এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করে বিএনপির সমর্থিত প্রার্থী মনিরুল হক চৌধুরী। ওই সময় অভিযুক্তরা রামদা, ছেনি, পিস্তল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে ককটেল ফাটিয়ে হামলা করে মামলার বাদি আইনজীবী ও এলাকার নেতাকর্মীদের উপর। এসময় তার গাড়ি ভাঙচুর ও তাকে পিটিয়ে আহত করে এবং নেতাকর্মীদের মারধর করে। তাদের মোবাইল ও টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয় তারা। এঘটনায নাঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ করলে ওসি নজরুল ইসলাম মামলা নেয়নি। উল্টো তিনি আমাকে মিথ্যা মামলা দেয়ার হুমকি দেন। পরে থানার ওসির নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ অফিস ও দোকানপাট ভাঙচুর করে বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করে। এরপর আদালতে আসলেও সেখানে আমি একজন আইনজীবী হওয়া স্বত্ত্বেও আমাকে হেনস্থা করা হয় এবং মামলা নেয়া হয়নি। স্বৈরাচারের পদত্যাগের পর আমরা মামলা করার সিদ্ধান্ত নেই। মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হয়ে করে আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।

Please follow and like us:

ফেইসবুকে আমরা

সর্বশেষ সংবাদ